তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষে আবার উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। —প্রতীকী চিত্র।
হামলা এবং পাল্টা হামলায় আবার সরগরম পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। রবিবার রাতে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে বিজেপি কর্মীকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তাঁদের সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে। এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা।
ভেকুটিয়ায় সমবায় সমিতির ভোটের পর আবার উত্তপ্ত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ‘এপিসেন্টার’ নন্দীগ্রাম। যে ভাবে প্রতি দিন রাজনৈতিক ঝামেলা হচ্ছে, তার জেরে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সোমবার বিজেপির তরফে অভিযোগ, রবিবার রাতে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের গোকুলনগরের বৃন্দাবনচকে বিজেপি করার ‘অপরাধে’ অভিজিৎ সাহু নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ নিয়ে বিজেপির নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মাইতির দাবি, ‘‘রবিবার অটলজির (প্রাক্তন এবং প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহা্রী আজপেয়ী) জন্মদিন পালিত হয়েছে বুথে বুথে। বৃন্দাবনচকেও এই কর্মসূচি সফল ভাবে পালন করেছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। ওই আক্রোশে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তৃণমূল আশ্রিত সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা বৃন্দাবনচকে হামলা চালায়। অভিজিতকে টেনে এনে মারধর করা হয়। এর বিরুদ্ধে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’
পাল্টা তৃণমূলের নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের কটাক্ষ, ‘‘গত ২৩ ডিসেম্বর ভেকুটিয়া সমবায় নির্বাচনে সব আসনে চূড়ান্ত ভাবে হারের জ্বালা ভুলতে পারছে না বিজেপি। এর পর থেকেই নন্দীগ্রাম জুড়ে ব্যাপক অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। রবিবার রাতে তৃণমূল কর্মী গোপাল জানার উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’