Panchayat Election 2023

কেষ্টর জেলায় বিপুল ভোটে জয় কাজলের, প্রথম বার লড়েই জেলা পরিষদে একদা অনুব্রত-বিরোধী

কাজল শেখ। একদা অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী শিবিরের নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন বীরভূমে। অনুব্রতের কারাবাসের পরে প্রথম বার জেলা পরিষদে প্রার্থী হন। বড় ব্যবধানে জয়ও পেলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ১৮:২০
Share:

বীরভূম জেলা পরিষদে জয়ী তৃণমূলের কাজল শেখ। — ফাইল চিত্র।

অনুব্রত মণ্ডল জেলে। রাজ্যেও নয়, দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। আর তারই মধ্যে বড় ব্যবধানে জয় পেলেন বীরভূমে একদা কেষ্ট-বিরোধী হিসাবে পরিচিত কাজল শেখ। অনুব্রত কখনও নির্বাচনে প্রার্থী হননি। নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। কাজলও অতীতে ভোটে লড়েননি। এই প্রথম বার জেলা পরিষদে প্রার্থী হন। নিজের লড়াইয়ের সঙ্গে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বও ছিল তাঁর কাধে। নিজে জিতলেন। দলও ক্রমেই এগিয়ে চলেছে। জেলা তৃণমূলের দাবি, কাজল জিতেছেন ৪৪ হাজার ভোটে।

Advertisement

কাজলকে নিয়েও কম বিতর্ক তৈরি হয়নি। অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরেও তৃণমূল জেলা সভাপতি পদ থেকে সরায়নি কেষ্টকে। তবে জেলায় একটি কোর কমিটি তৈরি করে দেয়। তার সদস্য হন কাজল। বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে কাজলের ‘মধুর’ সম্পর্কের কথাও সকলের জানা। তবু দলের হয়ে তিনি জেল জুড়ে ঘুরেছেন। ভোটের দিনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। নিজের জয় নিশ্চিত করার পরে জেলাতেও তিনি দলের বিজয় পতকা তুলে ধরতে কতটা সক্ষম হন সেটাই দেখার। কেষ্ট জমানার ফলকে কি টপকে যেতে পারবেন তিনি?

জেলার সম্পূর্ণ ফলঘোষণার আগে সেই প্রশ্ন থেকে যাবে। সঙ্গে একটি বিষয়ও খেয়াল রাখতে হবে যে ২০১৮ সালে এই জেলায় বহু আসনেই বিনা লড়াইয়ে জিতেছিল তৃণমূল। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের ২,৮৫৯ আসনের মধ্যে ১,৫৫২ আসনে জিতে গিয়েছে তৃণমূল। সেখানে বিজেপি ১৫১ এবং বাম-বিজেপি ৭৮। তবে ভোটের প্রচারে কেষ্টর ‘খেলা হবে’ স্লোগানেই ভরসা রেখেছিলেন কাজল। নানুরে বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা রাতের অন্ধকারে প্রচারের নামে আদিবাসী, অনুন্নত সম্প্রদায়ের মানুষজনকে টাকা দিয়ে, মদ খাইয়ে ভুল বোঝাতে আসবেন, তাঁদের দেখে নেওয়া হবে! তখন খেলাও হবে!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement