ইনসান মল্লিক। নিজস্ব চিত্র।
গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন কালনার বেগপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ইনসান মল্লিক। তাঁর ডান উরুতে গুলি লেগেছিল। কালনার হাসপাতাল থেকে কলকাতায় নিয়ে আসার সময় শুক্রবার রাতে রাস্তাতেই ইনসানের মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাত সওয়া ৮টা নাগাদ গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোটরবাইকে চড়ে গদার পাড় থেকে রাজখাঁড়া এলাকায় যাচ্ছিলেন ইসনান। অভিযোগ, তখনই একটি কাঠমিলের সামনে মোটরবাইকে এসে তাঁকে পিছন দিক থেকে গুলি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দু’টি গুলির আওয়াজ শোনা গিয়েছে। রাত ৯টা নাগাদ কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই নেতাকে।কালনা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, একটা গুলি ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। আর একটা গুলি গেঁথে ছিল ইনসানের উরুতে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ কলকাতায় রেফার করা হয় তাঁকে। রাতেই নেতাকে নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় ইনসানের।
শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর ইনসানের দেহ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে নিয়ে কালনার উদ্দেশে রওনা দেন স্থানীয় নেতা-তৃণমূল কর্মীরা।তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছয়েক আগে একই জায়গায় খুনের চেষ্টা করা হয় ওই নেতাকে। তবে সে বার গুলি নয়, বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। কালনা থানায় অভিযোগও হয়। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু শিলিগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরীর
আরও পড়ুন: ধর্ষণ-নির্যাতন, মমতা চার্জশিট চান ১০ দিনে
এ দিন দুপুর পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। কালনার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ-সহ দলের নেতা-কর্মীরা ভিড় করেছিলেন হাসপাতালে। দেবপ্রসাদবাবু বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা যাতে ধরা পড়ে সে কথা পুলিশকে বলা হয়েছে। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে দুষ্কৃতীদের ধরার।’’