হরিয়ানায় সংগঠন তৈরির পাশাপাশি, সদ্যসমাপ্ত গোয়ার বিধানসভার নির্বাচনেও তাঁকে কাজে লাগিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু কেন এই দলবদল? তা জানতে হরিয়ানা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের মতে, পঞ্জাব বিধানসভায় আপের সাফল্যের কারণেই অশোক দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তৃণমূল ছেড়ে আপে যোগ দিচ্ছেন হরিয়ানার নেতা অশোক তানোয়ার। সোমবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবালের উপস্থিতিতে তিনি আপে যোগ দিতে পারেন। গত বছর বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পর যখন দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন এইনেতা। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তৃণমূল নিয়ে তাঁর মোহভঙ্গ হল। এক বছরের মধ্যেই দ্বিতীয়বার দলবদল করতে চলেছেন অশোক। এক সময় সর্বভারতীয় রাজনীতিতেও অতি পরিচিত যুবনেতা হিসেব আত্মপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। হরিয়ানার রাজনীতিতে এখনও তাঁর দাপট রয়েছে যথেষ্টই। তাঁর সেই প্রভাবকেই কাজে লাগাতে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলের খবর। কিন্তু সেই তৃণমূল ছেড়েই এ বার তিনি আপের পথে।
হরিয়ানায় সংগঠন তৈরির পাশাপাশি, সদ্যসমাপ্ত গোয়ার বিধানসভার নির্বাচনেও তাঁকে কাজে লাগিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু কেন এই দলবদল? তা জানতে হরিয়ানা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের মতে, পঞ্জাব বিধানসভায় আপের সাফল্যের কারণেই অশোক দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ আপ প্রধান কেজরীবাল নিজেও হরিয়ানার বাসিন্দা। তা ছাড়া যেভাবে পঞ্জাবে ঝড় তুলে কংগ্রেসকে পর্যুদস্ত করে আপ ক্ষমতায় এসেছে, তাতে তার প্রভাব হরিয়ানার রাজনীতিতেও পড়বে বলে মনে করেন অশোক। তাই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দল ছেড়ে পঞ্জাবের ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেওয়াকেই তিনি বেশি নিরাপদ বলে মনে করেছেন।