ধৃত পূরণ মুশহর। নিজস্ব চিত্র
পিস্তল উঁচিয়ে এলাকায় ‘দাদাগিরি’ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলেও অভিযোগ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকাবাজার এলাকায় রবিবার সকালের ঘটনা। পুলিশ ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম পূরণ মুশহর। তিনি ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য অপসারিত পঞ্চায়েত প্রধান মিনু মুশহরের স্বামী। পূরণ মত্ত অবস্থায় পিস্তল উঁচিয়ে এলাকার অনেককে হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। কয়েক জনকে তাড়াও করেন। এ দিন ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আগ্নেয়াস্ত্রটি তিনি কোথায় পেলেন তা জানতে পূরণকে তিন দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তৃণমূল নেতার এ হেন তাণ্ডব সামনে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন হরিশ্চন্দ্রপুরের পেমাই এলাকার একটি আমবাগানে দেশি পিস্তল হাতে ঘোরাঘুরি করছিলেন পূরণ। ওই সময় মত্ত অবস্থায় যাঁদেরই সামনে দেখছিলেন তাঁদের তিনি তাড়া করেন। কয়েক জনকে সামনে পেয়ে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করারও হুমকি দেন। প্রাক্তন প্রধানের স্বামীর কীর্তি দেখে আতঙ্কিত বাসিন্দারাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে পূরণকে গ্রেফতার করে ভালুকা ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। ফাঁড়িতে এসেই কিছু ক্ষণের মধ্যে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। তার আগে পিস্তলটি তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন তা পুলিশ জানতে চায়। পরে ভেবে বলতে হবে জানিয়ে পূরণ ঘুমিয়ে পড়েন।
বিজেপির জেলা সম্পাদক কিসান কেডিয়া বলেন, ‘‘এটাই এখন তৃণমূলের সংস্কৃতি। এমন অস্ত্র তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীর কাছেই আছে।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, ‘‘তৃণমূল কাউকে অস্ত্র নিয়ে দাদাগিরি করার লাইসেন্স দেয়নি। কেউ বেআইনি কিছু করলে আইন আইনের পথে চলবে।’’
হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, ‘‘পিস্তলটি পূরণ কোথা থেকে পেয়েছিলেন তা জানতে ধৃতকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’