মোহনপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নির্মল করের সঙ্গে মারামারির অভিযোগে সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা বিমল ওরফে মিঠু চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার পলতার শান্তিনগর হাইস্কুলে এক শিক্ষককে নিগ্রহ এবং খুনের হুমকির ঘটনায় তিনিই ফের কাঠগড়ায়। শেখ ইমতিয়াজ আহমেদ নামে ওই শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ, ইমতিয়াজ এ দিন স্কুলে ঢোকার সময় মিঠুবাবু সঙ্গীদের নিয়ে পড়ুয়াদের সামনেই তাঁর পথ আটকান এবং স্কুলে ইমারতি দ্রব্য সরবরাহকারীদের থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ তুলে তাঁকে গালি দেন। তাঁকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না, ঢোকার চেষ্টা করলে খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। তার পরেই শিক্ষকদের একাংশ ক্লাস বয়কট এবং প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করেন।
স্কুলের খবর, পরিচালন সমিতির সভাপতি হিসেবে মিঠুবাবু পছন্দের এক শিক্ষককে সহকারী প্রধান শিক্ষক করতে চান। ইমতিয়াজ-সহ অনেকেই প্রতিবাদ করেন। স্কুলভবন সংস্কারে ইমারতি দ্রব্য জোগানের বরাত নেন কিছু শিক্ষক। তাতে মিঠুবাবুর
আপত্তি ছিল। ব্যারাকপুর তৃণমূল পুরপ্রধান উত্তম দাসের হস্তক্ষেপে মিঠুবাবু এবং শিক্ষকদের নিয়ে আপস-বৈঠক হয়। অভিযোগকারী শিক্ষকের পাশে দাঁড়ায় সেভ ডেমোক্র্যাসি ফোরাম। মিঠুবাবুর বলেন, ‘‘আমার পক্ষপাত নেই। নিয়ম মেনেই সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হোক। এ দিন এমন কিছু ঘটেনি, যাতে ওই শিক্ষককে হেনস্থার অভিযোগ উঠতে পারে।’’