AITC

KMC Election 2021: প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ! দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনশন করে হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূলের সাদিয়া

শনিবারই দলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই ওয়ার্ডে শাসকদলের প্রার্থী হবেন বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর কাইজার জামিল। তার পরেই বিক্ষোভ শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৩:৫৫
Share:

কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অনশনে ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের নেত্রী সাদিয়া শাহিন। নিজস্ব চিত্র।

বিদায়ী কাউন্সিলরকেই ফের প্রার্থী করেছে দল। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ১০ দিন ধরে অনশন করছিলেন ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেত্রী সাদিয়া শাহিন। মঙ্গলবার সকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পার্কসার্কাস চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। ঘটনায় প্রকাশ, ২৬ নভেম্বর তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায়, ৬০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হয় মহম্মদ ইয়েজুজার রহমানের নাম। কিন্তু শনিবারই দলের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই ওয়ার্ডে শাসকদলের প্রার্থী হবেন বিদায়ী কো-অর্ডিনেটর কাইজার জামিল। তার পরেই বিক্ষোভ শুরু হয় ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মীদের একাংশের মধ্যে। তার পরের দিনই কালীঘাটে তৃণমূলের দফতরে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে ফল না মেলায়, শেষ পর্যন্ত অনশন করার সিদ্ধান্ত নেন।

Advertisement

রবিবার থেকেই প্রার্থী বদলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন ওই ওয়ার্ডের মহিলা তৃণমূল নেত্রী সাদিয়া। ৩ নম্বর জানননগর রোডে কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে শুরু হয় অনশন। প্রায় ১০ দিন টানা অনশন করে মঙ্গলবার সকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে তাঁর পরিবার ও তৃণমূল কর্মীরাই তাঁকে পার্কসার্কাস চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যান। সাদিয়ার দেওর নাদিম আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা বৌদি প্রার্থী বদলের দাবিতে অনশন করছিলেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমরা বাধ্য হয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আমাদের সঙ্গে ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা রয়েছেন।’’ সাদিয়া অনশন চালিয়ে গেলেও আর প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা বা সুযোগ কোনওটিই ছিল না। কারণ, মনোনয়ন দাখিলের পর স্ক্রুটিনি ও মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে।

কলকাতা পুরসভার ৬০ নম্বর ওয়ার্ডটি তৃণমূলের দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার আওতাধীন। সেই জেলার সভাপতি দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। দ্রুতই আমি খবর নিচ্ছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement