Abhishek Banerjee

Abhishek Banerjee: তৃণমূলে মমতা এক নম্বরে কিন্তু দ্বিতীয় কে? স্পষ্ট ব্যাখ্যা সাংসদ অভিষেকের

মমতার পরে মুখ্যমন্ত্রী কি অভিষেক? সেটাও কত দফার পরে? এ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মতের লড়াইয়েও মেতেছেন নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২২ ১৮:১৯
Share:

মমতাই এক নম্বর। স্পষ্ট করলেন অভিষেক। ফাইল চিত্র

অনেকে বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃণমূলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই তাঁর জায়গা। এ নিয়ে দলের ভিতরেও অনেক চাপানউতর হয়েছে। তা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে। সোমবার সেই সব বিতর্কেরই ব্যাখ্যা-সহ জবাব দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে দলীয় সমাবেশে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলে এক নম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর দু’নম্বরে দলের কর্মীরা। তাঁরাই দলের সম্পদ।’’ এই প্রসঙ্গে বিজেপিকেও আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, ‘‘বিজেপির কাছে রয়েছে অর্থ আর কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আমাদের হাতে রয়েছেন কর্মীরা।’’

Advertisement

চলতি মাসের গোড়ার দিকেই তৃণমূলে দ্বিতীয় কে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সেটা তৈরি করেন দলের নেতা কুণাল ঘোষ, সাংসদ অপরূপা পোদ্দাররা। টুইট যুদ্ধের সেই আবহে উত্তরাধিকার প্রসঙ্গে মন্তব্যে অংশ নেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতাও।

কুণাল টুইটে লিখেছিলেন, ‘২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মত উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক।’ এর পরে পরেই অপরূপা লেখেন, ‘আমি চাই, আমাদের দিদি ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন আরএসএস মনোনীত রাষ্ট্রপতির থেকে। আর এই বিজেপির গোবর্ধন জগদীশ ধনখড়ের থেকে বাংলায় ২০২৪-এ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন আমাদের প্রিয় যুবনেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।’ অভিষেকের মুখ্যমন্ত্রিত্ব অনেক এগিয়ে নিয়ে আসেন অপরূপা। এ নিয়ে আবার পার্থ বলেন, ‘মমতাই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। অভিষেক তো বলেছে, কুড়ি বছর সরকার নিয়ে ভাববে না। তার পরও কেন লোকে বলে জানি না। মমতা যে ভাবে চালাচ্ছেন, দীর্ঘদিনের ইতিহাস তৈরি করবেন। মমতার পর কে নেতা হবেন, তা মমতা যতক্ষণ আছেন, বলতে পারছি না।’

Advertisement

মমতা তো নয়ই অভিষেকও সেই সময়ে এ নিয়ে মুখ খোলেননি। পরে অসমে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে অবশ্য এমন প্রশ্নের অবতরণা হয়েছিল অভিষেকের সামনে। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি প্রথম দিনই বলেছি, দল আমাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে, আমি সেই কাজ করছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সর্বোচ্চ নেত্রী। এবং তাঁর নেতৃত্বে বাংলা যেন দেশকে পথ দেখায়। এই মুহূর্তে আমার লক্ষ্য তৃণমূলকে আরও ১০টি রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে।’’ তবে সোমবার অভিষেকের বক্তব্যেও উত্তরসূরি প্রসঙ্গে সঠিক উত্তর মেলেনি। বরং, কর্মীদের উৎসাহিত করার বার্তা দিয়ে অনেকেরই মনে থাকা সেই কৌতূহল জিইয়ে রাখলেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement