TMC

বাঙালি আবেগ ছুঁতে বৈশাখে পথে তৃণমূল

নির্বাচনী রাজনীতির হাত ধরে আঞ্চলিক স্তরে স্থানীয় ভাষা, উৎসব, ইতিহাস ও আবেগ আলাদা ভাবে উদ্‌যাপনের ধারা ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। ঠিক দু’বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিকে বিশেষ মর্যাদায় রাজ্য দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৪৬
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

নিখাদ রাজনীতির অঙ্কেই বৈশাখ মাস জুড়ে ‘বাঙালিয়ানা’ উদ্‌যাপনের কথা ভাবছে তৃণমূল কংগ্রেস। নীচের তলা থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে রাজ্য স্তর পর্যন্ত ভিন্নমাত্রায় বাঁধা এই কর্মসূচি নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু হয়েছে। পয়লা বৈশাখ, সরকারি ভাবে ঘোষিত ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ থেকেই এই কর্মসূচির সূচনা করতে চাইছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

Advertisement

নির্বাচনী রাজনীতির হাত ধরে আঞ্চলিক স্তরে স্থানীয় ভাষা, উৎসব, ইতিহাস ও আবেগ আলাদা ভাবে উদ্‌যাপনের ধারা ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। ঠিক দু’বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিকে বিশেষ মর্যাদায় রাজ্য দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেই দিন থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে বাঙালি আবেগ ছুঁতে চাইছেন তাঁরা। দলীয় সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে সর্বোচ্চ স্তরে কিছু কথাবার্তা হয়েছে। তা চূড়ান্ত হলে দলের তরফে জেলা ও ব্লক স্তরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ স্থির করা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েন কম হয়নি। বঙ্গভঙ্গ নিয়ে তৎকালীন প্রাদেশিক আইনসভায় ভোটাভুটি হয়েছিল ২০ জুন। ওই দিনটিকেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালনের পক্ষে বিজেপি। তাদের সেই দাবি খারিজ করে রাজ্য দিবস নির্ধারণে একেবারে আলাদা ভাবে এগিয়েছিলেন মমতা। ভোটের ময়দানে আরও কিছুটা এগিয়ে থাকার চেষ্টা হয়েছে রাজ্য সঙ্গীত (বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল...) বাছাই করে। রাজ্যের সব সরকারি অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি রাজ্য সঙ্গীত গাওয়াও এখন কার্যত নিয়ম।

Advertisement

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের সময় থেকেই বাংলা ও বাঙালিয়ানাই ছিল বিজেপির জাতীয়তাবাদের বিপরীতে তৃণমূলের অস্ত্র। সেই সূত্রেই ‘বহিরাগত’, ‘বাংলার সম্মান’, ‘দিল্লির জমিদার’, ‘বাংলার প্রতি বঞ্চনা’ এবং তৃণমূল নেত্রীকে সামনে রেখে ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’ স্লোগান দিয়েছিল তৃণমূল। তীব্র মোদী-হাওয়ার সামনে তা অনেকটাই কার্যকর হয়েছিল বলে মনে করছে দল। তাই ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের এক বছর আগেই সেই ‘বাঙালিয়ানা’কে নতুন করে সাজাতে চেয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement