গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত কি পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে থাকছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক? দলীয় সূত্রে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। ২০২১-এর নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পিছনে এই ভোটকুশলীর ভূমিকা ছিল প্রশ্নাতীত। দলীয় নেতৃত্ব চাইছেন, আগামী লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনেও ‘পিকে ম্যাজিক’ জারি থাকুক।
যে কারণে ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ঘুঁটি সাজানোর চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। আগামী দুই নির্বাচনে যাতে নিজেদের নিজেদের শক্তি অক্ষত রাখতে পারে, তার জন্য প্রশান্ত কিশোরকেই ফের দলের ভোটকুশলী হিসেবে নিয়োগ করার পথে হাঁটতে চলেছে তৃণমূল।
যদিও পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের জয় আসার পর প্রশান্ত জানিয়েছিলেন, তিনি এই কাজ থেকে সরে দাঁড়াবেন। মাঝে জল্পনা ছড়ায়, শরদ পওয়ারের এনসিপি-র সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে আইপ্যাক। যদিও এনসিপি সূত্রে তেমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই মুহূর্তে ২০২২-এ পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে বৈতরণী পার করার দায়িত্বও পিকে-র সংস্থার উপর। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। বাংলার ভোট চলাকালীনই পিকে দেখা করেছিলেন অমরেন্দ্রর সঙ্গে। তার পর অমরেন্দ্র টুইটে লেখেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, প্রশান্ত কিশোরকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করেছি। পঞ্জাবের মানুষের কল্যাণের জন্য একসঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।’
২০১৭ সালেও অমরেন্দ্রের নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে ছিল প্রশান্তের সংস্থা ‘আইপ্যাক’। কিন্তু সেই সময় তাঁর রীতিনীতি পছন্দ হয়নি অমরেন্দ্রর। তার আগে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সঙ্গেও খটাখটি বেধেছিল প্রশান্তের। সে কথা মাথায় রেখে প্রশান্তর ঠিক করা সমস্ত প্রচার অনুষ্ঠানই কাটছাঁট করতেন অমরেন্দ্র। কিন্তু বিজেপিকে হারাতে এ বার পিকে অস্ত্রেই ভরসা রেখেছেন অমরেন্দ্র। এরই মধ্যে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্যের পর তৃণমূলও চাইছে পিকের সংস্থার সঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত গাঁটছড়া বাঁধতে।