ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের বিজ্ঞাপনে কলকাতার ‘মা’ উড়ালপুলের ছবি ব্যবহার বিতর্কে এ বার তথ্যের অধিকার আইনের (আরটিআই) সাহায্য নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ভুল ছবি ব্যবহারের দায় নিয়ে রবিবারই ভুল স্বীকার করেছিল সর্বভারতীয় একটি ইংরেজি সংবাদপত্র। কিন্তু সংবাদপত্রের উপরে চাপ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার আসলে নিজেদের দায় এড়াতে চাইছে কি না, সেই প্রশ্নই তুলতে চেয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে সোমবার আরটিআই করে উত্তরপ্রদেশের তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের কাছে জানতে চেয়েছেন, ওই ‘জাল’ বিজ্ঞাপন কারা তৈরি করেছিল? যোগী সরকার নাকি সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র? বিজ্ঞাপন প্রকাশের আগে তার খসড়া দেখে অনুমোদনের দায়িত্ব উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে কার ছিল? ওই সংবাদপত্রের সঙ্গে যোগী সরকারের চুক্তির প্রতিলিপিও দেখতে চাওয়া হয়েছে আরটিআই মারফত। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এ দিন কলকাতায় জানিয়েছেন, তাঁরা এই ‘জাল ছবি’-কাণ্ডের পেছনে মূল ঘটনা জানতে চান। তাই দলের তরফে আরটিআই করা হয়েছে। রাজ্যের উন্নয়নের বিবরণ সংক্রান্ত এমন একটি বিজ্ঞাপন কী ভাবে যোগী সরকারের তরফে কোনও আধিকারিককে না দেখিয়েই ছেপে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছেই এবং তথ্যের অধিকার আইনকে হাতিয়ার করে সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে তৃণমূল। সাকেত টুইটে মন্তব্য করেছেন, ‘‘যদি ওই সংবাদপত্রের উপরে চাপ সৃষ্টি করা হয়ে থাকে, তা হলে সেই ঘটনার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে আমাদের।’’
এই রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য তৃণমূলের এই উদ্যোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের আদালতে তলবের ঘটনাকে পাল্টা হাতিয়ার করেছেন তাঁরা। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘‘গত ১০ বছরে দু’টো টেট হয়েছে। তাতে এত ভুল যে, শিক্ষা-কর্তাকে কোর্টে গিয়ে বলতে হচ্ছে রাতের ঘুম চলে গিয়েছে। যাদের সরকারে এত ভুল, তারা আবার অন্যের ভুল নিয়ে পড়েছে!’’