(বাঁ দিকে) ফিরহাদ হাকিম। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
দলীয় হুইপ অমান্য করে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে যে বিধায়কেরা গরহাজির ছিলেন, তাঁদের নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। আগামী ৮ এপ্রিল কমিটির বৈঠকের দিন স্থির করা হয়েছে। ওই দিন দুপুর ২টোয় বিধানসভায় বৈঠক হবে। হুইপ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করবে তৃণমূল, তা ওই বৈঠকে ঠিক করা হতে পারে। ঘটনাচক্রে ওই দিনই বিকেল ৪টে নাগাদ নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক রয়েছে। বিধানসভার বৈঠক সেরে নবান্নে যাবেন মন্ত্রীরা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৮ এপ্রিল বিধানসভায় বসবে পাঁচ সদস্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক। তাতে থাকবেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং তৃণমূলের পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ। মঙ্গলবার রাতে কমিটির সদস্যেরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে বৈঠকের দিন স্থির করেছেন।
গত মাসের ১৯-২০ তারিখে বিধানসভার অধিবেশনে তৃণমূল বিধায়কদের উপস্থিতি ‘বাধ্যতামূলক’ করতে তিন লাইনের লিখিত হুইপ জারি করেছিলেন নির্মল। এর মধ্যে ১৯ তারিখ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অধিবেশনে যোগদানের কারণে অধিকাংশ বিধায়কই বিধানসভায় ছিলেন। তবে সে দিনও অন্তত ১০ জন বিধায়ক গরহাজির ছিলেন বলে তৃণমূল পরিষদীয় দল সূত্রে জানা যায়। এ ছাড়া, অধিবেশনের শেষ দিন, অর্থাৎ ২০ তারিখ বিধায়কদের সেই অনুপস্থিতির সংখ্যা বেড়ে ৩০-এর উপর উঠে যায়।
দলের হুইপ সত্ত্বেও বিধায়কদের অনুপস্থিতি তৃণমূল নেতৃত্বের নজর এড়ায়নি। তাঁরা বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছেন না। প্রাথমিক ভাবে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হয়, কারা ওই দু’দিন বিধানসভায় গরহাজির ছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। তার পর শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে তাঁদের সশরীরে হাজিরা দিতে বলা হবে। সেখানেই অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে বিধায়কদের। এর মধ্যে ওই সময়ে কারা আগে থেকে স্পিকারের কাছে ছুটির আবেদন জানিয়ে রেখেছিলেন, সেই খোঁজখবরও নেওয়া হয়। গত সপ্তাহেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিল তৃণমূল। অনুপস্থিত বিধায়কদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে খবর। ৮ তারিখের বৈঠকে শোভনদেব, নির্মল, ফিরহাদেরা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবেন, ওই বিধায়কদের ডেকে পাঠানো হবে কি না। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির রোষের মুখে পড়তে পারেন অন্তত ২৪ জন বিধায়ক।