Khejuri

খেজুরিতে আক্রান্ত তৃণমূল! মমতার নির্দেশে সেখানে যাচ্ছে কুণাল-সহ তিন সদস্যের দল, হবে জনসভাও

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভার অন্তর্গত খেজুরি। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। তার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির হাতে তৃণমূলের আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪ ১৫:৫৪
Share:

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে বিজেপির হাতে ‘আক্রান্ত’ হচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা। খবর পেয়ে সেখানে দলের প্রতিনিধিদের পাঠাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারই ওই প্রতিনিধি দলের খেজুরিতে পৌঁছনোর কথা। তৃণমূল সূত্রে খবর, একদা পূ্র্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকা কুণাল ঘোষ থাকছেন ওই প্রতিনিধি দলে। এ ছাড়া থাকছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা এবং মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত খেজুরি। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক। তার পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির হাতে তৃণমূলের আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, খেজুরিতে গিয়ে সেখানে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন কুণালেরা। সেখানে তৃণমূলের উপর অত্যাচারের বিষয়টি নিয়ে একটি জনসভাও করবেন। সেই জনসভায় হাজির থাকতে বলা হয়েছে উত্তমকেও।

প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শুভেন্দুর খাসতালুক বলে পরিচিত। যদিও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই এলাকায় জিতেছিল তৃণমূল। প্রার্থী হয়েছিলেন শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী। পরে শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে ওই আসনটি তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ২০২৪ সালে আসনটি জিতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। শুভেন্দুর পরিবারের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল উত্তমকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উত্তম আসনটি জিততে পারেননি।

Advertisement

ফলাফল প্রকাশের পর জানা যায়, কাঁথির অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার মধ্যে নিজের কেন্দ্র ছাড়া বাকি ছ’টিতেই পিছিয়ে রয়েছেন সৌমেন্দুর কাছে। এই ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যে পারস্পরিক দোষারোপ শুরু হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর। এর মধ্যেই জেলায় তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণের খবর আসতে থাকে। পরিস্থিতি সামলাতে এ বার উদ্যোগী হলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement