শোভন চট্টোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
সোমবার বিজেপির হয়ে প্রথম মিছিল করার পরেই শোভনকে বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি আখ্যা দিল তৃণমূল। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে ‘নামছি নামছি’করে দেড় বছর কাটিয়ে দেওয়ার পরে সোমবার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েই দক্ষিণ কলকাতায় মিছিল করেন শোভন। গোলপার্ক থেকে মিছিল করে গিয়ে সেলিমপুরে সভা এবং সাংবাদিক বৈঠক। তিন কর্মসূচিতেই বারবার তৃণমূলকে পালা করে আক্রমণ করেন শোভন ও বৈশাখী। আর সে সবের শেষে তৃণমূলের দিক থেকে এল কটাক্ষ— ‘‘শোভন হচ্ছেন বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি’’বললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
একটা সময় পর্যন্ত খুবই জনপ্রিয় ছিল ‘গ্ল্যাক্সো’ ব্র্যান্ডের বেবি ফুড। সেই মিল্ক পাউডারের বিজ্ঞাপনে নাদুসনুদুস যে শিশুকে দেখা যেত তাকে কেন্দ্র করেই ‘গ্ল্যাক্সো বেবি’শব্দবন্ধ তৈরি হয় বাংলায়। কুণাল তার সঙ্গে তুলনা করেই শোভনকে কটাক্ষ করলেন কি না স্পষ্ট না করলেও ইঙ্গিত তেমনই। সোমবার কুণাল শোভনকে ‘বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি’ বলে আক্রমণ করার পিছনে কারণও ছিল। বিজেপির মঞ্চ থেকে আগেই কুণালের প্রসঙ্গ টেনে আনেন শোভন। সেটা আবার সোমবারই রানাঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে। মমতা এ দিন বিজেপিকে ‘ওয়াশিং মেশিন’বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘‘তৃণমূলে থাকলে কালো আর বিজেপিতে গেলে ভাল।’’এর জবাব দিতেই কুণাল প্রসঙ্গ টেনে শোভন বলেন, ‘‘ওঁর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে বলেই এসব বলছেন। রাজীব কুমারকে বাঁচাতে ধর্নায় বসেছিলেন তিনি। আবার সেই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে শিলংয়ে গিয়ে সাক্ষী দিয়ে আসা কুণাল ঘোষকে দলের মুখপাত্র নিয়োগ করেছেন।’’
এই প্রসঙ্গেই কুণালের আক্রমণ, ‘‘উনি তো বৈশাখীর গ্ল্যাক্সো বেবি।ওঁর কথার আর কী জবাব দেব? গত দেড় বছর ধরে উনি বৈশাখীকে আর বৈশাখী ওঁকে পর্যবেক্ষণ করে আসছেন। এখন তাঁর উপরেই কি না পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’একই সঙ্গে কুণালের সংযোজন, ‘‘বিজেপি কর্মীদের কথা ভাবলে খারাপ লাগে। তাঁদের এখন নেতার সঙ্গে নেতার বান্ধবীর পায়েও তেল দিতে হয়।’’
আরও পড়ুন: ১৬ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভ করবেন রাজীব, পোস্ট দেখে মন্তব্যে নারাজ তৃণমূল
আরও পড়ুন: ভোটব্যাঙ্ক ফেরাতে তৃণমূলপন্থী মতুয়াদের কৌশলী উদ্যোগ