প্রথম দফা নির্বাচনের পরের দিনই বিক্ষিপ্ত ভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল জঙ্গলমহলের শালবনি এলাকায়। গতকালই সবে ভোট শেষ হয়েছে। এর মধ্যে শাসক ও বিরোধী দলের সংঘর্ষে তপ্ত জঙ্গলমহলের শালবনির গড়বেতা এলাকার শুকনাতোড় গ্রাম। শালবনি বিধানসভার সিপিএম প্রার্থী শ্যাম পাণ্ডে অভিযোগ করেন, গতকাল রাত থেকেই তাঁদের এজেন্টদের মারধর করে বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল সমর্থকরা। এর পরে আজ সকালেও তাঁরা হামলা চালায় সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের উপর। গুরুতর আহত আবস্থায় পাঁচ জনকে চন্দ্রকোণা রোডের দ্বারিগেরিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি। শ্যামবাবুর অভিযোগ, ‘‘গতকাল থেকেই আমাদের এজেন্টকে একঘরে করেছে তৃণমূলের লোকেরা। এর পর আজ আবার এই হামলা। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। শুধু তাই নয়, কমিশনের কাছে পুনর্নিবাচনের জন্য আবেদনও জানিয়েছি।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ফাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর জানান, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি, আমরা ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছি।’’
অন্য দিকে, সিপিএম এবং শাসক দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল লাভপুরের কাকসুন্দি গ্রামে। দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষেরই চার জন কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছেন, আহতদের সিউড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লাভপুরের সিপিএম প্রার্থী সৈয়দ মাহফুজুল করিম অভিযোগ জানিয়েছেন, পুলিশের সামনেই তৃণমূল কর্মীরা সিপিএম প্রার্থীদের বেধড়ক মারধর করেছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের বাড়ি ভাঙচুরও করেছে বলেও তাঁর অভিযোগ। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল সোমবার রাতে সিপিএম কর্মীরা নাকি শাসক দলের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে, তার পরেই এই ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে ওসি’র অপসারণের দাবি জানান স্থানীয় সিপিএম কর্মীরা। এলাকা এখনও থমথমে।