আত্মসমর্পণ করেই জামিন পেয়ে গেলেন শিলিগুড়ির তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা। শুক্রবার দুপুর দু’টো দশ মিনিট নাগাদ রঞ্জনবাবু জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) শান্তনু দত্তের এজলাসে আত্মসমর্পণ করেন। দু’টো পঁয়তাল্লিশ মিনিট নাগাদ মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। রঞ্জনবাবুর আইনজীবী দ্রুতি রায় জামিনের আবেদন জানালে, সরকারি আইনজীবী অথবা বিরোধী পক্ষের আইনজীবী কেউই বিরোধিতা করেননি। মামলার নথি দেখে সিজিএম তৃণমূল কাউন্সিলরের জামিন মঞ্জুর করেন। এজলাস থেকে বেরিয়ে বিরোধী পক্ষের আইনজীবী শঙ্কর দে অবশ্য অভিযোগ করেছেন, ‘‘তৃণমূল নেতা হওয়ার কারণেই পুলিশ রঞ্জনবাবুর বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা দায়ের করে। সে সুবাদেই হামলা, মারধরে অভিযুক্ত রঞ্জনবাবু সহজেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন।’’
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, রঞ্জনবাবুর বিরুদ্ধে পাঁচটি ধারায় মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। আইনজীবীদের দাবি, ধারাগুলির মধ্যে একমাত্র ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫ ধারাটি (কাউকে গুরুতর ভাবে জখম করা) শক্তিশালী ছিল। তবে ধারাটি জামিনযোগ্য বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ জমা পড়ার পরে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, অভিযুক্তদের খোঁজা হচ্ছে। যদিও এ দিন সরকারি আইনজীবী কেন রঞ্জনবাবু সহ অভিযুক্ত ৬ জনের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইনজীবীদের একাংশের প্রশ্ন, তবে কি পুলিশের তরফে সরকারি আইনজীবীকে মামলার গুরুত্বের কথা জানানো হয়নি? সরকারি আইনজীবী শান্তা চট্টোপাধ্যায় এজলাসে থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, বিরোধীদের আইনজীবীও কেন এজলাসে জামিনের বিরোধিতা করেননি।
বিরোধীদের আইনজীবী শঙ্করবাবু অবশ্য পুলিশকেই দুষে অভিযোগ করেছেন, ‘‘জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হওয়ায়, জামিনের বিরোধিতা করা বা না করা একই ব্যাপার। পুলিশ ইচ্ছে করে রঞ্জন শীলশর্মাদের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা করেছে। অন্য দিকে রঞ্জনবাবুরা যাঁদের নামে অভিযোগ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে।’’