পুলিশের ঢিলেমিতেই কি জামিন অনিন্দ্যর? প্রশ্ন উঠছে। —ফাইল চিত্র।
জামিন হল তোলাবাজিতে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের। বিধাননগর মহকুমা আদালত সোমবার তাঁকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। গ্রেফতারির পর ৬০ দিন কেটে যাওয়া সত্ত্বেও পুলিশ এই মামলার চার্জশিট জমা না দেওয়ায়, বিচারক এ দিন তাঁকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন। ফলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বিধাননগর পৌর নিগমের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে। গ্রেফতার হওয়ার পর জানা যায়, একটি নয়, অনিন্দ্যর বিরুদ্ধে তোলাবাজির একাধিক অভিযোগ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এক বার অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। হাসিনার এক আত্মীয় সল্টলেকে নিজের বাড়ির নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের তোলাবাজির কবলে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। হাসিনার কাছ থেকে এ কথা জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত বিরক্ত হন। অনিন্দ্যকে কড়া সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়। তাতেও অবশ্য তোলাবাজি বন্ধ হয়নি। তাঁর ওয়ার্ডে ফের তোলাবাজির অভিযোগ সামনে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরাসরি পৌঁছে যায় সে অভিযোগ। এর পর সরাসরি নবান্ন থেকেই গ্রেফতারির নির্দেশ জারি হয়।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতা খুনে অভিষেককে ক্ষোভ জানালেন নিহতের স্ত্রী
রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলের ইঙ্গিত পেয়ে বিধাননগর কমিশনারেট অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ঠিকই। কিন্তু পর দিন আদালতে পেশ করে পুলিশ কাউন্সিলরকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি। ফলে বিধাননগর মহকুমা আদালত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে সরাসরি জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়। তখনই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সোমবার ফের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। দু’মাস আগে অনিন্দ্যকে গ্রেফতার করা সত্ত্বেও এখনও কেন চার্জশিট জমা দেওয়া গেল না, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই। অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির আরও একাধিক ্ভিযোগ সামনে এসেছে। সাক্ষ্যপ্রমাণেরও ্ভাব ছিল না। তাও পুলিশ চার্জশিট জমা দেয়নি। তৃণমূল কাউন্সিলরের জামিনের পথ সুগম করতেই পুলিশ ইচ্ছাকৃত চার্জশিট দেয়নি, দাবি বিরোধীদের।