কোন্নগর-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বাপি দাস কোন দলের, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেল চাপান-উতোর।
Baপ্রথমে বাড়ি কেনার সময়ে তোলা না দেওয়া ও পরে ওই বাড়ি প্রোমোটারের স্বার্থে বিক্রি না করায় মঙ্গলবার কোন্নগরের বাসিন্দা, মহম্মদবাজারের বিডিও তারাশঙ্কর ঘোষের ঘরে তাণ্ডব ও তাঁর স্ত্রী-মেয়েকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বাপি ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। বাপি নিজেকে তৃণমূল কর্মী হিসেবেই দাবি করেছে। একই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশেরও। কিন্তু হামলার খবর আনন্দবাজারে প্রকাশিত হতেই শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব অন্য কথা বলছেন।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্তের দাবি, ‘‘বাপি দলের কেউ নয়। সে সিপিএম করত। কোনও সুবিধা পেতে তৃণমূল বলে নিজের পরিচয় দিয়েছে।’’ সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্ব তা মানতে চাননি। দলের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেছেন, ‘‘বাপি কোন দলের জানি না। অভিযোগ গুরুতর। বাপি যখন তৃণমূলের নয়, তখন তো পুলিশের অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’ কেন বাপিকে এখনও ধরা হল না? জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তেমন হলে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করবে।