প্রদীপ মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের সময়ে এসে নানা প্রতিশ্রুতি দেন। তবে ভোট মিটে গেলে আর দেখা মেলে না। বহিরাগত প্রার্থীদের নিয়ে এমন অভিযোগ শোনা যায় নানা রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের মুখে। কিন্তু তিনি সেই তালিকায় পড়বেন না, প্রথম বার দলের কর্মীদের মুখোমুখি হয়েই এই প্রতিশ্রুতি দিলেন এ বার বিধানসভা ভোটে দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ মজুমদার। রবিবার দুর্গাপুরে পৌঁছে তিনি বলেন, ‘‘এখানকার মানুষের পাশে থাকব। কোনও তঞ্চকতা নেই। আমার কোনও ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য নেই।’’
দুর্গাপুর পূর্বের বিদায়ী বিধায়ক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের পুরনো বাসিন্দা। তাঁকে এ বার টিকিট দেওয়া হয়নি। যিনি প্রার্থী হয়েছেন সেই প্রদীপবাবু ‘বহিরাগত’। রাজনীতিতেও নতুন। তৃণমূল সূত্রের খবর, এ নিয়ে এলাকায় দলের কর্মীদের একাংশের মধ্যে যে ক্ষোভ রয়েছে, তা প্রদীপবাবু জানেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমি এই জেলার সন্তান। আমার বাড়ি রায়নায়। সরকারি আধিকারিক হিসেবে গভীর রাতেও এই এলাকায় কাজ করে গিয়েছি।’’
এ দিন প্রদীপবাবু সিটি সেন্টারে দলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) অফিসে কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হন। ঢাক বাজিয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। তার আগে থেকে দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকেরা তাঁকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন। প্রদীপবাবুর তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। ভোটে প্রতিপক্ষকে কী ভাবে দেখছেন? প্রার্থীর জবাব, ‘‘প্রতিপক্ষ আছে বলে জানি না। আমার লক্ষ্য, মানুষের আশীর্বাদ পাওয়া।’’ তিনি জানান, মাটি উৎসব ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনা। তিনি সেই ভাবনার রূপায়ণে সাহায্য করেছিলেন। এখন সামনে একটাই ‘চ্যালেঞ্জ’, ভোটে জেতা।
দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বেশ কিছু অংশ, শহরের অভিজাত এলাকা বিধাননগর, কাঁকসার তিনটি পঞ্চায়েত এলাকা, বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা এমএএমসি, এইচএফসিএল এবং বিওজিএলের আবাসনের ভগ্নাবশেষ নিয়ে দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা এলাকা। এর মধ্যে কাঁকসার নানা শিল্পতালুকও রয়েছে। প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘বাইরের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে শিল্প গড়া যেতেই পারে। তবে আমার মতে, সবচেয়ে স্বীকৃত মডেল হল দেশের মানুষের আর্থিক সমৃদ্ধি, ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো।’’