প্রতীকী ছবি।
ভগিনী নিবেদিতার পরে এ বার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি টক্কর।
শাসক দল তৃণমূল ১২ জানুয়ারি, শুক্রবার দিনভর রাজ্য জুড়ে বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন করবে। অন্যান্য বছর গেরুয়া শিবির বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী পালন করে ঠিকই। কিন্তু এ বছর কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দলই এই কর্মসূচিকে সাম্প্রতিক প্রতিযোগিতার আবহে এনে ফেলেছে। সরকারি আয়োজনের পাশাপাশি দলীয় স্তরেও ওই দিন কলকাতার সব ওয়ার্ডে বিবেকানন্দ-জয়ন্তীর মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়াতে চাইছে তৃণমূল। এত সাড়ম্বর এর আগে কোনও দিন যা হয়নি। এর আগে রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী বা রথযাত্রায় বিজেপি-তৃণমূলের রাজনৈতিক টক্কর হয়েছিল। বিবেকানন্দকে ঘিরেও জমে উঠছে প্রতিযোগিতার বাতাবরণ!
উত্তর কলকাতার সিমলায় বিবেকানন্দের বাড়ির আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই তাঁর জীবন ও বাণী সংবলিত ট্যাবলো নিয়ে বিশেষ শোভাযাত্রা করবে তৃণমূল। এ ছাড়া কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে, বরো অফিসে সকাল থেকে সরকারি উদ্যোগে ‘বিবেক উৎসবে’ আলোচনা সভা, দুঃস্থদের সাহায্য করা হবে। বামেরাও অনেক ওয়ার্ডে সরকারি অনুষ্ঠানে সামিল হবে। এ ছাড়াও হবে শরীরচর্চা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। লক্ষ্য সেই জনসংযোগ।
সিমলায় বিবেকানন্দের বর্তমান মূর্তির উচ্চতা বাড়ানোর জন্য সংসদে দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘মোদীর গুজরাতে সর্দার বল্লভভাই পটেলের সুউচ্চ মূর্তি রয়েছে। তা হলে কলকাতায় বিবেকানন্দের অনেক উঁচু মূর্তি কেন থাকবে না? আমি লোকসভায় বিষয়টি তুলেছি। চাই বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষও কেন্দ্রের কাছে দাবিটা জানান।’’
তৃণমূলের সঙ্গে বিবেকানন্দ নিয়ে প্রতিযোগিতায় কাল, বৃহস্পতিবার থেকেই বিজেপি-র যুব মোর্চা শুরু করছে ‘প্রতিরোধ সঙ্কল্প যাত্রা’। দিঘায় ওই যাত্রার উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘাওয়াল। যাত্রায় মোটরবাইকের পাশাপাশি থাকবে বিবেকানন্দ, নিবেদিতা, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং দীনদয়াল উপাধ্যায়ের ছবি এবং উদ্ধৃতি সম্বলিত ট্যাবলো। দিঘা থেকে বঙ্গোপসাগরের জল এবং পথে অন্য নদীর জল সংগ্রহ করে লেবংয়ে নিবেদিতার বাড়িতে নিয়ে যাবে যুব মোর্চা।
অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) জেলায় জেলায় বিবেক-জয়ন্তী পালন করবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিবেকানন্দ ও ভারতমাতার প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে ‘দেশপূজন’ করবে তারা। আরএসএস করবে সব মহকুমায় রুটমার্চ। রাজ্য জু়ড়ে সে দিন গেরুয়া লহর!