প্রতীকী ছবি।
‘গীতাঞ্জলি’ আবাসন প্রকল্পে উপভোক্তা বাছাইয়ে বিরোধী পক্ষের বিধায়কদের মতামত বা প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠল বিধানসভায়। মঙ্গলবার এই অভিযোগে সরব হয় বাম-কংগ্রেস।
প্রশ্নোত্তর পর্বে সিপিএমের খগেন মর্মু অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে নিজেদের বলে প্রচার করছে রাজ্য। কিন্তু উপভোক্তা বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় বিরোধী বিধায়কদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। উত্তরে গীতাঞ্জলি প্রকল্প রাজ্যের নিজস্ব বলে দাবি করেন আবাসনমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, জেলা সভাধিপতিকে নিয়ে জনসংখ্যা এবং এলাকা অনুয়ায়ী উপভোক্তা বাছাই করেন জেলাশাসক। যাঁদের মাসিক রোজগার ছ’হাজার টাকার কম, তাঁরা ওই প্রকল্পের সুবিধা পান।
মন্ত্রীর উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিরোধীরা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাননীয় মন্ত্রীকে বলছি, এটা দেখবেন।’’ তার পরেও সিপিএম-কংগ্রেস একই অভিযোগ করে যেতে থাকেন।
আবাসনমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক লক্ষ ৮৪৭ জন উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সমতলের ক্ষেত্রে উপভোক্তা-পিছু বরাদ্দ হয় ৭০ হাজার টাকা। সুন্দরবন, পাহাড় এবং দুর্গম এলাকার জন্য ওই বরাদ্দের পরিমাণ ৭৫ হাজার টাকা।