অমিত শাহের সভার পাল্টা তৃণমূলের সমাজমাধ্যমের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কথা ঘোষণা করল তৃণমূল। ফাইল চিত্র।
কলকাতা সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা বৈঠকে বসেছিলেন তাদের সমাজমাধ্যম শাখার কর্মীদের সঙ্গে। আর সেই দিনই নিজেদের তথ্যপ্রযুক্তি ও সমাজমাধ্যমের (আইটি অ্যান্ড এসএম) শাখার সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কাজ শুরু করার কথা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। নতুন এই কর্মসূচি যে বিজেপির আইটি সেলের প্রচারকে পাল্টা জবাব দেওয়ার মঞ্চ হবে, তা এই ঘোষণার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেই মনে করছে। শাহ-নড্ডা কলকাতা ছাড়ার আগেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করে তৃণমূল।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের তরফে তৃণমূলের আইটি অ্যান্ড এসএম শাখার দায়িত্ব রয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। দলের তরফে এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান শীঘ্রই শুরু হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণের ঘোষণা করা হয়নি। বিজেপি নেতৃত্বের কাছে সবসময়ই গুরুত্ব পেয়ে এসেছে সমাজমাধ্যম। যে কোনও ভোটে বিজেপির আইটি ও এসএম শাখার তরফে জোরদার প্রচার করা হয়। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই নরেন্দ্র মোদী এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে সফল হয়েছিলেন। ২০১৯ সালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে সক্ষম হয়েছিলেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও সব রাজ্যের আইটি ও এসএম সেলকে জোরদার করতে চান শাহ-নড্ডারা। আর বাংলায় সেই প্রচারের মোকাবিলা করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল।
তাই দলের তরফ থেকে এই ঘোষণার দিন হিসাবে শাহ-নড্ডার সফরের দিনকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ যে দিন তাঁরা নিজেদের রণকৌশল সাজাতে বৈঠকে বসলেন, সেদিনই তৃণমূলের তরফ থেকে পাল্টা ঘোষণা দিয়ে লোকসভা ভোটে বিজেপির মোকাবিলা করার কথাও গেরুয়া শিবিরকে বুঝিয়ে দেওয়া হল বলেই মনে করছেন বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। মনে করা হচ্ছে, তৃণমূলের হয়ে ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডল, ইনস্টাগ্রামে সরব হওয়া এবং প্রচারকদের এ বার এক ছাতার তলায় আনতে চাইছে বাংলার শাসকদল।