(বাঁ দিকে) শুভেন্দু অধিকারী এবং কুণাল ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
‘শহিদ দিবসে’ শাসক-বিরোধী শিবিরের দ্বৈরথ মঞ্চ হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম। পাশাপাশি তৈরি হওয়া মঞ্চে আগে ‘চোরমুক্ত বাংলা’ গড়ার ডাক দিয়ে গেল বিজেপি। পরে তৃণমূল হুঙ্কার দিল ‘দুর্নীতিমুক্ত দেশ’ গড়ার। গোকুলনগরের করপল্লির মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে স্বমহিমায় ফিরবে বিজেপি। আর সেই লড়াইয়ে রাজ্যকে পথ দেখাবে নন্দীগ্রাম। ঠিক তার ঘণ্টা দুয়েক পরে পাশের মঞ্চ থেকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, লোকসভায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের হাত ধরে গড়ে উঠবে দুর্নীতিমুক্ত দেশ। সেই সঙ্গে শুভেন্দুকে ইডি-সিবিআই জেলে ঢোকাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
প্রশাসনের ছাড়পত্র পেয়ে নন্দীগ্রামের করপল্লিতে শুক্রবার প্রথম সভা করার অনুমোদন পায় বিজেপি। যেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন শুভেন্দু। শহিদ বেদির গা ঘেঁষে রাস্তার উপর বাঁধা হয় ছোট্ট মঞ্চ। বেদিতে মাল্যদানের পর সেখানেই বক্তৃতা করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘আজ আমার পরেই এখানে আসবেন রেশন দুর্নীতিতে যুক্ত, চালচোর, গমচোর, কয়লাচোরেরা।’’ এর পরেই শুভেন্দুর দাবি, ‘‘নরেন্দ্র মোদী এখান থেকে অনেক বেশি ভোট পাবেন। পরের বছর যখন শহিদ দিবস পালন হবে, তখন রাজ্যে আর চোরগুলো থাকবে না। আমি কথা দিয়ে গেলাম। ২৪ সালের ১০ নভেম্বর চোরমুক্ত বাংলা দেখবেন আপনারা।’’ ‘শহিদ দিবস’ পালনের অনুমতি নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘এ বারে আমাদের আর হাই কোর্টে যেতে হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হয়নি। ঠেলায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না।’’
শুভেন্দুরা চলে যাওয়ার পরেই ফুলমালা সরিয়ে পরিষ্কার করা হয় শহিদ বেদি। তার পরেই সেখানে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান তৃণমূলের কুণাল, দোলা সেন, মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুরা। দোলা বলেন, ‘‘আমরা কোনও দিনই ননদীগ্রামের শহিদ দিবস তৃণমূলের ব্যানারে করি না। এখানে ভূমি উচ্ছেদ কমিটিই শেষ কথা। আমরা ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি হিসাবেই এসেছি।’’ পরে কুণাল বলেন, ‘‘দিল্লিতে বিকল্প সরকার চাই। বিজেপি এ বার তিন অঙ্কে পৌঁছবে না। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়বে ইন্ডিয়া জোট। তার এক মাস পর এই শুভেন্দুকে সিবিআই-ইডি দিয়ে গ্রেফতার করা হবে। সরকার যে দিন পাল্টাবে, সে দিন অধিকারীদের সাইনবোর্ড দেখতে পাবেন না। কেন্দ্রীয় এজেন্সি তা বন্ধ করে দেবে।’’