— প্রতীকী চিত্র।
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন তিন বন্ধু। অন্ধকারে গুগল ম্যাপই ছিল ভরসা। সেই সূত্রেই একটি সেতুতে উঠে পড়ে তাঁদের গাড়ি। শেষ পর্যন্ত পরিণতি হল মর্মান্তিক! রাতের অন্ধকারে প্রবল গতিতে থাকা গাড়িটি নির্মীয়মাণ ওই সেতু থেকে ২০ ফুট নীচে পড়ে। তার জেরে মৃত্যু হল কৌশল, বিবেক ও অমিত নামে তিন আরোহীরই। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ওই ঘটনার ছবি। তাতে দেখা যাচ্ছে, কার্যত জলশূন্য ওই নদীতে সেতু সংলগ্ন অংশে পড়ে রয়েছে গাড়িটি। ২০ ফুট উঁচু থেকে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে সেটি।
উত্তরপ্রদেশের রামগঙ্গা নদীর উপরে পড়ে যায় সাদা রঙের গাড়িটি। তাতে সওয়ার তিন জন ওই রাজ্যেরই মৈনপুরী, ফারুখাবাদের বাসিন্দা। রাতে দুর্ঘটনা ঘটলেও ভোরবেলা স্থানীয়দের নজরে আসে ঘটনাটি। তার পরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানোর বন্দোবস্ত করে। পুলিশ জানিয়েছে, একে ঘন কুয়াশা। তার উপরে রাস্তাও তেমন পরিচিত ছিল না। তারজেরেই জিপিএস দেখে গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি গাজ়িয়াবাদের। মৃতদের জামার পকেট থেকে পরিচয়পত্র মিলেছে। তাঁদের পরিজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। ক্রেনের মাধ্যমে গাড়িটি নদী থেকে তোলা হয়েছে। এই ঘটনার পরেই নির্মীয়মাণ সেতুর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেরই বক্তব্য, যাতায়াতের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত সেতুর প্রবেশপথ আটকে রাখা উচিত, যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। অনেকেই প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা নিয়েপ্রশ্ন তুলেছেন।