বাসের সামনে তখনও দাঁড়িয়ে পুলিশের পোশাকধারীরা। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
পড়শি রাজ্যের সীমানা বিনা বাধায় পেরিয়েছে তৃণমূলের ‘দিল্লি চলো’-র বাস। কিন্তু বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে ঢোকার মুখেই থামানো হল তাদের। পুলিশের পোশাকে দুই ব্যক্তি এসে দাঁড় করান বাসটিকে। বাসটির তল্লাশিও নেন তারা। আর এই গোটা সময় বাসের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখায় হয় একটি বাইককে। যাতে বাসটি এগোতে না পারে। গোটা ঘটনাটি ক্যামেরায় বন্দি করেছিলেন বাসের ভিতরে থাকা এক যাত্রী। রবিবার রাতে সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে তৃণমূল। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তারা লিখেছে, ‘‘এই ধরনের বাধা সন্দেহ জাগায়। তবে বিজেপির কাছে এটা প্রত্য়াশিতও। কারণ এর আগেও ওরা আমাদের দিল্লি যাত্রার ট্রেন বাতিল করে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’’
সোমবার সকাল থেকেই দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা তৃণমূলের । রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা এবং আবাস যোজনা-সহ অন্যান্য আর্থিক দাবি আদায়ের জন্য সোম এবং মঙ্গল বার দু’দিন দিল্লিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচি রয়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বাংলার জব কার্ড হোল্ডাররা। যাঁরা পরিশ্রমের অর্থ পাননি। এ ছাড়া থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার সুবিধা না পাওয়া বাংলার বঞ্চিতরাও। দিল্লির রাজঘাটে সোমবার সকালে তাঁদের নিয়ে কর্মসূচি শুরুর আগে রবিবার রাতেই সবার দিল্লি পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে উত্তরপ্রদেশে ঢোকার মুখেই বাধা পেল তৃণমূলের দিল্লি যাত্রার বাস ।
রবিবার রাতে সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ করে তৃণমূল আরও লিখেছে, ‘‘এই ধরনের বাধা এলেও আমাদের দমানো যাবে না। আমাদের ভয় পাওয়ানোও যাবে না। আমরা আমাদের অভিযানে স্থিতধি থাকব।’’
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচির জন্য একটি বিশেষ ট্রেনের আবেদন করেছিল তৃণমূল। ২০টি বগি সম্পন্ন সেই বিশেষ ট্রেনের আবেদন ২৩ সেপ্টেম্বর করলেও ছ’দিন পর রেল একটি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয় ওই ধরনের ট্রেনের অনুমোদন দেওয়া যাবে না। ঘটনাচক্রে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে যখন এই রেলের চিঠি আসে, তার ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর সকালেই দিল্লি রওনা হওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের। তবে শেষ মুহূর্তে ট্রেন পাওয়া না গেলেও অভিষেক জানিয়ে দেন, ‘‘তৃণমূল বিকল্প ব্যবস্থা করে নেবেন। বাংলার মানুষের কণ্ঠস্বর দিল্লিতে পৌঁছবেই’’।
এর পরই প্রায় ১০০টির কাছাকাছি বাসে তৃণমূলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে দিল্লি যাওয়ার ঘোষণা করেন। অভিষেক। তবে একই সঙ্গে তৃণমূলের তরফে এই আশঙ্কার কথাও জানানো হয় যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যের উপর দিয়ে যখন তাঁদের বাস যাবে, তখন আবার তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হতে পারে। উত্তরপ্রদেশে ঢুকতেই তারা সেই বাধার মুখোমুখি হয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল।