অনেকের কাছেই শীতকাল আরামের এবং উপভোগের। আপনার পোষ্য সারমেয়টির কাছেও এই সময়টা সমান আরামপ্রদ। কুকুরের দেহের স্বাভাবিক উত্তাপ ১০১-১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তাই শীতের এই ঠান্ডা আমেজ কুকুরদের কাছে খুব পছন্দের। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সুস্থ থাকে ওরা। তবে এই সময় আপনার পোষ্যর যত্নেরও প্রয়োজন। সর্দি, কাশি, জ্বর এমনকী চামড়ার নানা সমস্যায় ভুগতে পারে আদরের সারমেয়।
ত্বকের যত্ন নিন
বছরে দু’বার কুকুরদের লোম ঝরে। সাধারণত একে মোল্ডিং বলা হয়ে থাকে। এরপর আবার কুকুরদের গায়ে নতুন করে লোম জন্মায়। শীতকাল কুকুরদের গায়ের লোম ঝরার সময়। এই সময় ত্বকের প্রতি যত্নবান হতে হবে। বড় লোমওয়ালা কুকুরের ক্ষেত্রে যত্নটা একটু বেশি।
• এই সময় নিয়মিত (পারলে দিনে দু’বার) কুকুরের গায়ের কম্বিং, ব্রাশিং করতে হবে। দেখবেন বড় লোমের কুকুরদের লোমে যেন জটা না পড়ে যায়। সপ্তাহে একদিন পোষ্যটিকে ঈষদুষ্ণ গরম জলে শ্যাম্পু দিয়ে স্নান করান। কুকুরদের জন্য বিশেষ শ্যাম্পু বাজারে পাওয়া যায়। তবে শ্যাম্পু যেন কুকুরের চোখ, নাক বা কানে না লাগে। এখন বাজারে নানা রকমের ড্রাই শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এতে জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
• স্নানের পর ভাল করে গা মুছিয়ে দিতে হবে। গা শুকনো না হলে ধীরে ধীরে ছত্রাক জাতীয় রোগ চামড়ায় বাসা বাঁধবে। প্রয়োজনে দু’টো তোয়ালে বদলে গা মোছাতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন ড্রায়ারও। আবার অনেকদিন স্নান না করালে কুকুরের গায়ে বিশেষ পারফিউমও স্প্রে করতে পারেন। তবে এগুলোর ব্যবহার খুব বেশি না করাই ভাল।
জামা পরান
আমরা যেমন শীতে গরম জামা ব্যবহার করি, সেরকমই এই সময় পোষ্যদের কিছুটা উত্তাপের প্রয়োজন। বড় লোমওয়ালা কুকুরদের (গোল্ডেন রিট্রিভার, স্পিৎজ, অ্যালসেশিয়ান, হাউন্ড) লোমই উত্তাপ জোগায়। এদের হাতকাটা জামা পরাতে পারেন। ছোট লোমওয়ালা কুকুরদের ( পাগ, গ্রেট ডেন, ল্যাব্রাডর) গায়ে পাতলা ফ্লানেল বা পশমের তৈরি হাতকাটা জামা পরাতে পারেন।
মেঝেতে নয়
বছরের অন্য সময় কুকুর ঠান্ডা মেঝেতে থাকতে পছন্দ করে। তবে শীতে তাদের জন্য অবশ্যই একটা বিছানার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। প্রয়োজনে মেঝেতে গদি পেতে দিতে পারেন। গায়ে দিতে পারেন পাতলা একটা চাদর। মার্বেলে শুলে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
নজরে রাখুন নাক-কান
যদি ঠান্ডা লাগে তা হলে পোষ্যের হাঁচি-কাশি হতে পারে। এমনকী কাশতে কাশতে অনেকে বমিও করে ফেলে। কানের দিকেও নজর রাখুন। ঠান্ডা লেগে কান ব্যথা বা রস বেরোতে দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
সাক্ষাৎকার: মোনালিসা ঘোষ।