২০১৬ সাল থেকে ডিএ মামলা নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলছে। —ফাইল চিত্র
মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বহু দিন ধরেই চলছে জট। প্রায় ছ’বছর ধরে ডিএ মামলা নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলছিল। অবশেষে ২২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার এই মামলার আরও একটি রায় ঘোষণা করা হল। ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা মামলায় বৃহস্পতিবার রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ পূর্ব নির্দেশই বহাল রাখল।
একঝলকে দেখা নেওয়া যাক, এই মহার্ঘ ভাতা নিয়ে চলা দীর্ঘ ইতিহাস। ২০১৬ সালে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা স্যাটে মামলা শুরু হয়। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ এই মামলা দায়ের করে। এই মামলা শুনানির সময় রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মীদের আইনসিদ্ধ অধিকার নয়। সেই বক্তব্যকেই মান্যতা দেয় স্যাট। কিন্তু স্যাটের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৮ সালে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। তখন হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ স্যাটের রায়কে খারিজ করে। ডিভিশন বেঞ্চ থেকে জানানো হয়, মহার্ঘ ভাতা সরকারের দান নয়, তা কর্মীদের আইনি অধিকার। আবার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য মামলাটি স্যাটের কাছেই পাঠায় আদালত। স্যাটের বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের বেঞ্চ ২০১৯ সালের জুলাইয়ে রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, ছ’মাসের মধ্যে কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যের তরফে স্যাটের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালে আবার আদালতে মামলা ওঠে। ওই বছরের ডিসেম্বরে ফের বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এই ঘটনার ঠিক দু’বছর পর ২০২২ সালে ২৯ এপ্রিল এই মামলার শুনানি শেষ করে। তার পরই ২০ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত। আদালতের তরফে জানানো হয়, তিন মাসের মধ্যেই বকেয়া মেটাতে হবে। এই রায়ই বহাল রাখা হল বৃহস্পতিবার। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে রাজ্যে। ডিএ দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা বিচারাধীন রাখল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৭ নভেম্বর আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি হবে।