বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। প্রতীকী ছবি।
ঘূর্ণিঝড় মোকা বিদায় নিতেই গরম থেকে স্বস্তি ফিরছে রাজ্যে। কলকাতা-সহ রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবারের মধ্যে বৃষ্টি বৃদ্ধি পাবে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ১৮ মে, অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সময় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। কলকাতায় বুধবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গত কয়েক দিন ধরেই আবার গরমে হিমশিম খাচ্ছে কলকাতা-সহ রাজ্য। গত সপ্তাহে আবার তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রাজ্যের কয়েকটি জেলায়। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ৪০ ডিগ্রির কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোকা তৈরি হলেও তার তাণ্ডবের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে বাংলা। তবে মোকার প্রভাবে রাজ্যে গরমের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। রবিবার বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূল দিয়ে অতিক্রম করেছে মোকা। তার পরই রাজ্যের আবহাওয়ায় বদল ঘটল। আলিপুর জানিয়েছে, বিহার থেকে ওড়িশা পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগর থেকে ঢুকছে জলীয় বাষ্প। এর জেরেই চলতি সপ্তাহে রাজ্যে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তবে বৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হলেও কয়েকটি জেলায় এই সপ্তাহেও তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বুধবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানেও তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার পরই ওই জেলাগুলিতে আবহাওয়ার বদল ঘটবে।