Raj Bhavan Assault Case

রক্ষাকবচ মিলেছে কোর্টে, মহিলাকে ‘বাধা দেওয়া’ তিন রাজভবন কর্মী থানায় হাজিরা দিলেন অবশেষে

শ্লীলতাহানির ঘটনায় রবিবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় তলব করা হয়েছিল রাজভবনে তিন কর্মীকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা নাকি নির্যাতিতাকে ঘটনার দিন রাজভবনে আটকে রেখেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৪ ১৭:০৩
Share:

(বাঁ দিকে) রাজভবন এবং হেয়ার স্ট্রিট থানা। — ফাইল চিত্র।

রাজভবনের তিন কর্মী হাজিরা দিলেন হেয়ার স্ট্রিট থানায়। শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা রাজভবনের মহিলা কর্মীর বয়ানের ভিত্তিতেই তাঁদের তলব করা হয়েছিল। আগে বার কয়েক হাজিরা এড়ালেও মঙ্গলবার থানায় এলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালেই ব্যাঙ্কশাল কোর্ট এই তিন জনকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়েছিল।

Advertisement

শ্লীলতাহানির ঘটনায় রবিবার হেয়ার স্ট্রিট থানায় তলব করা হয়েছিল রাজভবনের তিন কর্মীকে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা নাকি নির্যাতিতাকে ঘটনার দিন রাজভবনে আটকে রেখেছিলেন। যে তিন জনকে তলব করা হয়েছিল, তাঁরা হলেন এসএস রাজপুত, কুসম ছেত্রী এবং সন্ত লাল। রবিবার ডাকা হলেও তাঁরা তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। উল্টে পুলিশের কাছে সময় চেয়েছিলেন তাঁরা।

যে তিন জনকে তলব করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এসএস রাজপুত জানিয়েছিলেন, তিনি কলকাতার বাইরে রয়েছেন। রাজপুত ১০দিন সময় এবং এফআইআরের কপিও চেয়েছিলেন পুলিশের কাছে। বাকি দু’জন সাত দিন সময় এবং এফআইআরের কপি চান। তার পর পুলিশ আবারও তাঁদের মঙ্গলবার হাজিরা দেওয়ার কথা বলে।

Advertisement

কলকাতা পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছিল, বার বার তলব এড়িয়ে গেলে রাজভবনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে। সেই আশঙ্কা করেই তিন জন ব্যাঙ্কশাল আদালতে জামিনের আবেদন করেন। মঙ্গলবার সকালে আদালত ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে। তার পরই থানায় হাজিরা দিলেন এসএস রাজপুতরা। সূত্রের খবর, পুলিশ এই তিন জনের সঙ্গেই কথা বলেছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজভবনের ঘটনা নিয়ে অভিযোগকারিণী আদালতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঁচ ঘণ্টা গোপন জবানবন্দি দেন। তাঁর অভিযোগ, যে দিন তাঁর সঙ্গে রাজভবনে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে, সে দিন রাজভবন থেকে বেরোতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের এফআইআরে নাম রয়েছে রাজভবনের এই তিন কর্মীরই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement