প্রতীকী ছবি। গ্রাফিক্স- তিয়াসা দাস
স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না স্বামী। মঙ্গলবার রাতে সেই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েও যান স্ত্রী। সেই আক্রোশে স্ত্রীর প্রেমিকের তিন আত্মীয়কে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে খুন করার অভিযোগ উঠল রবিউল মিস্ত্রি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার আক্রা এলাকার এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিউলের বাড়ি মুর্শিদাবাদে। পেশায় রাজমিস্ত্রি রবিউল কর্মসূত্রে স্ত্রীকে নিয়ে আক্রায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রী ফরিদা বিবি এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই যুবকের নাম রোহিত। মঙ্গলবার রাতে রোহিতের সঙ্গেই ফরিদা বিবি পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। এর পর রোহিতের ভগ্নিপতি মহম্মদ রহমতের বাড়ির চারপাশে বৈদ্যুতিক তার বিছিয়ে রাখেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। আর সেই তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল রহমত-সহ তিন জনের।
এলাকাবাসীর দাবি, রহমত যে বাড়িতে থাকতেন তার চার পাশে বুধবার রাতে বিদ্যুতের তার বিছিয়ে রেখেছিলেন অভিযুক্ত রবিউল মিস্ত্রি। এর পর গভীর রাতে ওই বাড়ির উঠোনে থাকা কাপড় এবং আশপাশের ঝোপে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। আগুন আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরোত গিয়েই ঘটে বিপত্তি। বিছিয়ে রাখা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান তিন জন। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম মহম্মদ রহমত, সুলতান আহমেদ এবং শেখ জাকির হুসেন। স্থানীয় বাসিন্দা নাসির মণ্ডল বলেন, ‘‘রবিউল এ ভাবে প্রতিশোধ নেবে বুঝতেও পারিনি।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, তড়িৎদাহত হয়ে ছ’জন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিন জনকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের বাঁচানো যায়নি।
অভিযুক্তের ছবি
স্থানীয়দের দাবি, রহমতের বাড়ির পাশেই একটি সামাজিক অনুষ্ঠান ছিল। রাত ২টো নাগাদ আগুন দেখতে পেয়ে পাড়ার বাসিন্দারা সেখানে চলে আসেন। রহমতের বাড়িক সকলে ঘুম থেকে উঠে পড়েন চিৎকার শুনে। তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরোতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর রবিউলকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনি আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কোথা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৫০ মিটার দূরে অভিযুক্তের বাড়ি। সেখান থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।