চার দিনে এক হাজার জনের ডেঙ্গি উত্তর ২৪ পরগনায়

২০১৭ সালে এই জেলায় ডেঙ্গি ব্যাপক ভাবে ছড়ানোর পরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মোকাবিলায় নামে রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও চলতি বছরে তা ফের উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে।

Advertisement

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:২০
Share:

দেগঙ্গায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লাইন আক্রান্তদের। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

উত্তর ২৪ পরগনায় গত চার দিনে নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার জন। চলতি মরসুমে এই নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। বিধাননগর এবং দক্ষিণ দমদম এলাকাতেও ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন, ‘‘এই দু’টি জায়গা ছাড়া জেলার অন্যান্য উপদ্রুত এলাকায় জ্বর ও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার হার এই ক’দিনে কমতে শুরু করেছে।’’

Advertisement

২০১৭ সালে এই জেলায় ডেঙ্গি ব্যাপক ভাবে ছড়ানোর পরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মোকাবিলায় নামে রাজ্য সরকার। ২০১৮ সালে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও চলতি বছরে তা ফের উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে। জ্বর ও ডেঙ্গিতে আক্রান্তের পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম এবং লেক টাউনের মতো শহরাঞ্চলে ডেঙ্গি ও জ্বরের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। বিধাননগরে এক হাজার এবং দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০০ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

আগে এই জেলায় যে অঞ্চলে ডেঙ্গিতে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, সেই দেগঙ্গায় জ্বর ও ডেঙ্গির হার মঙ্গলবার পর্যন্তও একই রকম রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রতিদিন সেখানে এক হাজারেরও বেশি মানুষ জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গড়ে ১৫ জনের রক্তে রোজ ডেঙ্গির জীবাণু মিলছে। তবে চলতি বছরে ডেঙ্গিতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে হাবরা-অশোকনগরে। সেখানে ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন ২৩ জন। তবে হাবরা-সহ জেলার গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গি ও জ্বর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।

Advertisement

তপনবাবু আরও জানান, প্রতি সপ্তাহে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরে উপদ্রুত এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মীরা গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি বৃষ্টিও বন্ধ হয়েছে। তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গেলে পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement