—ফাইল চিত্র।
ফিরতে চাইলেই কি ফেরানো হবে?
তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনে ‘আগ্রহ’ যত বাড়ছে দলীয় নেতৃত্ব ততই এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। শনিবার পর্যন্ত যে ইঙ্গিত মিলেছে তাতে দলে ফেরানোর ক্ষেত্রে দরজা হাট করে খুলতে রাজি নন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এ বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতামতও স্পষ্ট। প্রসঙ্গত, দলের গত সাংগঠনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে তৃণমূলে কাদের কী ভাবে ফেরানো হবে তা ঠিক করবেন দলনেত্রী মমতা।
এখনও পর্যন্ত দলে ফিরতে চেয়ে যাঁদের উদ্যোগ প্রকাশ্যে এসেছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনালি গুহ তাঁদের অন্যতম। সোনালি টুইটে নিজের ‘ভুল’ স্বীকার করেছেন। রাজীব শুধু বিজেপির সমালোচনা করে টুইট করেননি শনিবার সরাসরি পৌঁছে গিয়েছেন কুণাল ঘোষের বাড়িতে। তবে উভয়ের ক্ষেত্রেই তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বের মনোভাব এখনও ইতিবাচক নয়।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে মুকুল রায় শুক্রবার বলেন, বিজেপি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা বাঁধানোর চক্রান্ত করছে। যা তাঁর পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, এ দিন কুণালের কাছে রাজীবও ঠিক এই কথাগুলিই বলেন।
মমতা নিজেই বলেছেন, ভোটের আগে-পরে মুকুল তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি। রাজীব
সম্পর্কে অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্বের ধারণা অন্য। আর তা জেনে এ দিন কুণালের কাছে রাজীবের ব্যাখ্যা তিনি ব্যক্তি কুৎসা করেননি। করেছে তাঁর দল বিজেপি।
আরও যাঁরা ফেরার পথ খুলতে চাইছেন বলে গুঞ্জন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস, সুনীল সিংহ, প্রবীর ঘোষাল প্রমুখ। যদিও তাঁরা কেউই সরাসরি এখনও তেমন কিছু বলেননি। তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে সব্যসাচী দত্তেরও।
এ দিকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে কি না সে সম্পর্কে প্রশ্নে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘‘কে যাবেন কে থাকবেন, তাঁদের ব্যাপার। কেউ গরু-বাছুর নন যে বেঁধে রাখা যাবে। রাজনৈতিক নেতারা খুব বুদ্ধিমান হন। পরিস্থিতি পরিবেশ দেখে তাঁরা বিচার করেন।’’