ম্যাথু স্যামুয়েল
রাজ্যের শাসক দলের কিছু সাংসদ, বিধায়ক ও নেতা স্টিং অপারেশনে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু কবে হয়েছিল নারদ নিউজের কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েলের সেই অপারেশন?
এই বিষয়ে হলফনামায় ম্যাথুর বক্তব্যের সঙ্গে ভিডিও ফুটেজের ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টের বক্তব্য মিলছে না বলে অভিযোগ উঠল কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে এই অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা। তাঁর বক্তব্য, ম্যাথু ওই অপারেশনের যে-তারিখের কথা জানিয়েছেন, ফরেন্সিক রিপোর্টে জানানো তারিখের সঙ্গে তার তফাত অন্তত এক বছরের!
স্টিং অপারেশন সংক্রান্ত মামলায় অপরূপা-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই। সেই এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর আদালতে মামলা করেছেন অপরূপা, কলকাতার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদ। এ দিন সেই মামলার শুনানিতে লুথরার দাবি, হলফনামা দিয়ে ম্যাথু জানিয়েছেন, তিনি স্টিং অপারেশন করেছিলেন ২০১৪-র মার্চ থেকে মে মাসে। কিন্তু চণ্ডীগড়ের ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির রিপোর্ট জানাচ্ছে, স্টিং অপারেশনের কিছু ভিডিও ফুটেজ তোলা হয়েছিল ২০১৩ সালের মার্চ থেকে মে মাসে।
লুথরার প্রশ্ন, ২০১৬-য় হাইকোর্ট ম্যাথুকে স্টিং অপারেশনে ব্যবহৃত মোবাইল, ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদালত-নিযুক্ত ব্যক্তিদের হাতে ল্যাপটপ দেওয়ার আগে ম্যাথু সেটির সফটওয়্যার ‘ফরম্যাটিং’ করান বলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন। তিনি এটা করলেন কেন? লুথরার অভিযোগ, যে-মোবাইলে অপারেশন হয়েছিল, বিশেষজ্ঞেরা সেটিও পরীক্ষা করার সুযোগ পাননি। আজ, শুক্রবার ফের শুনানি হওয়ার কথা।