চালকের ভুলেই গাড়ি খাদে পড়ে গিয়েছিল সিকিমে!

চালকের ভুলেই পশ্চিম সিকিমে গাড়ি দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা। তবে গাড়িটি বৃহস্পতিবারও তোলা যায়নি, তাই কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, তা এখনও বোঝা যায়নি। চালকের শারীরিক অবস্থার অবশ্য আরও অবনতি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০০:২০
Share:

হাসপাতালে গাড়িচালক অসীম রাই। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

চালকের ভুলেই পশ্চিম সিকিমে গাড়ি দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা। তবে গাড়িটি বৃহস্পতিবারও তোলা যায়নি, তাই কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, তা এখনও বোঝা যায়নি। চালকের শারীরিক অবস্থার অবশ্য আরও অবনতি হয়েছে।

Advertisement

আহত চালক অসীম রাই ও জখম দুই যাত্রীকে জিজ্ঞাসা করে যে তথ্য মিলেছে তাতেই পুলিশের অনুমান, চালক ভুল করে রাস্তার ধারের আলগা ঘাসে সামনের চাকা নামাতেই গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। সিকিমের পশ্চিমাঞ্চলের পুলিশ সুপার তেনজিং লোডে লেপচা জানান, ওই রুটে ‘ফগ পকেট’ রয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে কুয়াশা ছিল না বলে শুনেছেন। এলাকাটি অবশ্য ঘন অন্ধকারে ঢাকা ছিল। তার মধ্যে ওভারটেক করে এগিয়ে বাঁকের মুখে উল্টো দিকের আর একটি গাড়ির মুখোমুখি পড়ে যায় অসীমের গাড়িটি। তেনজিং বলেন, ‘‘সে সময়ে পাশ কাটাতে গিয়ে পাকা রাস্তার ধারের ঘাসে মোড়া একটা জায়গায় সামনের চাকা নামাতেই গাড়ি খাদে পড়ে বলে অসীম জানিয়েছে।’’

তেনজিংয়ের মতে, পাহাড়ি রাস্তার ধারে কোথায় ঘাসের নীচে শক্ত মাটি রয়েছে, কোথায় আলগা, দক্ষ ও অভিজ্ঞ চালকেরা তা বুঝতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘চালক ও দু’জন পর্যটকের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, অন্ধকারে ফগ লাইট থাকলেও চালক শক্ত মাটি রয়েছে ভেবে আলগা ঘাসে চাকা তুলে দিতেই এমন হয়েছে। তবে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, তা গাড়ি তোলার পরে জানা যাবে।’’

Advertisement

সোমবার নামচি থেকে সিকিমের কালুকের হোটেলে ফেরার সময় ঋষি এলাকায় গাড়িটি খাদে পড়ে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার ৫ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়, জখম হন চালক সহ দু’জন। আহতরা বাড়ি ফিরেছেন।

বর্তমানে শিলিগুড়িতে সেবক রোডের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গাড়ির চালক অসীম। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ২৩ অক্টোবর রাতেই তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে। অসীম বলেন, ‘‘বাঁকের মুখে পাশ কাটাতে গিয়ে ফগ লাইটে পাকা রাস্তার ধারে ঘাস দেখে ভেবেছিলাম শক্ত মাটি রয়েছে। সেখানে চাকা পড়তেই খাদের দিকে নামতে থাকে। তখন গাড়ি ঘোরানো ও থামানোর চেষ্টা করলেও স্টিয়ারিং, ব্রেক কাজ করেনি। তার পরে কিছু মনে নেই।’’ দুর্ঘটনা ঘটেছে ২২ অক্টোবর। পর দিন সিকিম থেকে শিলিগুড়িতে এনে চালককে হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁরই বাড়ির লোকজন। সে দিনই জখম পর্যটকদেরও শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, ঘটনার চার দিন পরেও গাড়িটি তোলা গেল না কেন? পুলিশ জানিয়েছে, ওখানে একাধিক ক্রেন ব্যবহার করা দরকার। পুলিশ জানায়, রাস্তাও চওড়া নয়। তবে যত দ্রুত সম্ভব গাড়িটি তোলার চেষ্টা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement