জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধিতায় তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়েই চলছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তার জেরে রাজ্যেও তৃণমূলের প্রতি প্রধান বিরোধী দলের সুর নরম হচ্ছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা বিস্তর। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানাচ্ছেন, দলের হাইকম্যান্ডের তরফে তাঁর কাছে এমন কোনও বার্তা আসেনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বে আছি। আমাকে অন্তত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলেননি যে, তৃণমূলের প্রতি সুর নরম করতে হবে! আমাকে ওঁরা বলেছেন, সংগঠনটায় নজর দিতে। সেই চেষ্টাই করছি।’’
ঘরোয়া আসরে বরং প্রদেশ সভাপতির প্রশ্ন, রাজ্যে কংগ্রেসের প্রতি তৃণমূল কি কোনও ‘নিপীড়ন’ বাকি রেখেছে? তার পরে আর সুর নরমের কী থাকে!
বিধান ভবনে মঙ্গলবার এক চা-চক্রের ঘরোয়া আসরে অধীরবাবু খোলাখুলিই বলেছেন, প্রদেশ সভাপতি পদ আঁকড়ে থাকার কোনও মোহও তাঁর নেই। ওই পদে রদবদলের জল্পনা সম্প্রতি গতি পেয়েছে কংগ্রেসের কিছু মহলে। এই প্রসঙ্গে অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমি লবি করে সভাপতি হইনি। গত ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎই আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আবার যে দিন বলবে, দায়িত্ব ছেড়ে দেব!’’ কংগ্রেসের যতটুকু সংগঠন রাজ্যে এখনও আছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাকে গতিশীল রাখারই চেষ্টা করছেন প্রদেশ নেতৃত্ব। এখন যেমন বন্যাদুর্গত এলাকায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে কংগ্রেস কর্মীদের। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই এ দিন বড়বাজারের সত্যনারায়ণ পার্কে ত্রাণ সংগ্রহে নেমেছিলেন অধীরবাবু। শ্যামবাজারে আজ, বুধবার এবং দু’দিন পরে হাজরাতেও ত্রাণ সংগ্রহ হবে।