খাতড়ার প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার। ছবি: শুভেন্দু তন্তুবায়
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা বৈঠকের আগের দিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিকে নিশানা করে সোমবার তিনি বলেন, ‘‘কোভিডের বিনা পয়সার চিকিৎসাও করতে দেবে না! নাটক? শুধু মিথ্যা ভাষণ দেয়, অফিসারদের চমকায়। বাংলার বদনাম করে।’’
কোভিডের প্রতিষেধক টিকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ, মঙ্গলবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। তার আগে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৮টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক হবে তাঁর। কেন্দ্রের বিচারে এই ৮টি রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি খারাপ। বাকি রাজ্যগুলি হল ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, গুজরাত, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং কেরল।
নবান্ন সূত্রে আগেই জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের এই মূল্যায়নের সঙ্গে রাজ্য সহমত নয়। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় বিভিন্ন তথ্য-পরিসংখ্যান পেশ করে দেখাতে পারেন যে, এই রাজ্যে রোগের প্রকোপ কমছে। সুস্থতার হার বাড়ছে, কমছে মৃত্যুর হার।
আরও পড়ুন: রাজ্যের ভোটে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, চর্চা নির্বাচন কমিশনে
বাঁকুড়া সফররত মুখ্যমন্ত্রীর সেখান থেকেই মোদীর বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। তার আগে সোমবার খাতড়ায় সরকারি পরিষেবা বণ্টনের সভায় তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কোভিড মোকাবিলার প্রশ্নে আক্রমণাত্মক হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা যদি একটা কোভিড কেসে দেড় লক্ষ-দু’লক্ষ টাকা খরচ করতে পারি, ইঞ্জেকশন আমরাও করতে পারি। নির্দেশিকা দাও, আর বলো কার কাছ থেকে নেবে। আমাদের রাজ্য সরকার তৈরি আছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘এত মানুষকে আমরা সেফ হাউসে রেখেছি, এত পরিযায়ী শ্রমিককে আমরা প্রায় ৩০০ ট্রেনের ভাড়া দিয়ে নিয়ে এসেছি, কেন্দ্রীয় সরকার একটা ভাড়া পর্যন্ত দেয়নি।’’
আরও পড়ুন: অশোকনগরের তেল প্রকল্পে আচমকা বিক্ষোভ
কোভিড ইঞ্জেকশন সম্পর্কে কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বলছে, এখন ইঞ্জেকশন দেব। আর তা আসতে ৬ মাস-৮ মাস লেগে যাবে।’’ এই সূত্রেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘‘কেন্দ্র করোনার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি-র ট্রায়াল চালাতে চেয়েছিল। আমাদের রাজ্য সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। কারণ, এখানে জনসংখ্যার অনুপাতে পরীক্ষা কম হয়। এখানে সংক্রমণের হার সব চেয়ে বেশি— ৯। সারা দেশে ৪.৫। স্পুটনিক ভ্যাকসিন সারা দেশে প্রয়োগ হচ্ছে। এখানকার সরকারকে কেন্দ্র বলেছিল। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে সেন্টার হয়েছে। কিন্তু কোনও রোগীর নাম দেওয়া হয়নি।’’