University of Burdwan

Online Exam: স্নাতকে আংশিক পরীক্ষা অনলাইন

স্নাতক স্তরের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সিমেস্টার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য অধ্যক্ষেরা মত দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২২ ০৭:২৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

স্নাতক স্তরে আংশিক ভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার গোলাপবাগে দূরশিক্ষা ভবনের অডিটোরিয়াম বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানেরা মিলে এই সিদ্ধান্ত নেন। আজ, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত তিন কমিটির বৈঠকেও এই নিয়ে আলোচনা হবে। ওই দিনই জরুরি ভিত্তিতে ডাকা এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) বৈঠকে তা চূড়ান্ত হবে। এ দিনও বৈঠক চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে এক দল পড়ুয়া বিক্ষোভ দেখান।

Advertisement

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহা বলেন, ‘‘বেশির ভাগই অনলাইনের পক্ষে মত দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি, পরীক্ষা সংক্রান্ত কমিটি ওই মত নিয়ে আলোচনা করবে। তার পরে জরুরি ভিত্তিতে ডাকা ইসি বৈঠকে বিষয়টি সিলমোহর দেওয়া হবে।’’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতক স্তরের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সিমেস্টার পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য অধ্যক্ষেরা মত দিয়েছেন। তবে স্নাতক স্তরের প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম সিমেস্টার কোনও ভাবেই অনলাইনে হবে না, সে সিদ্ধান্তও হয়েছে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছেন, আজ, বৃহস্পতিবার ইসির বৈঠকের পরে, পরীক্ষা-সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, তাতে বলা থাকবে, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সিমেস্টার বাদে, আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষাই অফলাইনে হবে। স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা এ বার অফলাইনেই হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন রাজবাটীতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়াদের একাংশ। মঙ্গলবার ইসি-র বৈঠক চলাকালীনও বিক্ষোভ হয়। বুধবার পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, বীরভূমের নানা কলেজের অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, আধিকারিক, ছাত্র-কর্মচারীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক চলাকালীনও বিক্ষোভ দেখান এক দল। তাঁদের দাবি, স্নাতক স্তরে পাঠ্যক্রম শেষ হয়নি। যেটুকু হয়েছে, তার বেশিরভাগ অনলাইনে। বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ, ‘‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পরীক্ষার দাবি মেনে নিয়েছে। অথচ, সিলেবাস না শেষ হওয়া সত্ত্বেও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে টালবাহানা করছে।’’

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ওই তিনটে জেলার ৬৪টি কলেজের মধ্যে চল্লিশটি কলেজের অধ্যক্ষ এ দিন হাজির ছিলেন। বাকি কলেজ প্রতিনিধি পাঠায়। বর্ধমানের রাজ কলেজ, রায়নার শ্যামসুন্দর কলেজ, গুসকরা কলেজ, বীরভূম মহাবিদ্যালয়, হুগলির ভদ্রেশ্বর কবি সুকান্ত কলেজ-সহ প্রায় সবাই অনলাইনে পরীক্ষার পক্ষে মত দেয়। হুগলির একটি কলেজের অধ্যক্ষ জানান, তাঁর কলেজে সিলেবাস শেষ হয়েছে। তবে দু’বছর ধরে একটি পদ্ধতিতে পরীক্ষা চলছে, হঠাৎ করে অন্য পদ্ধতি মেনে নেওয়া কঠিন ছাত্রদের পক্ষে। আবার হুগলির আর একটি কলেজের অধ্যক্ষ সরাসরি অফলাইনে পরীক্ষার পক্ষে সওয়াল করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত, রসায়ন বিভাগের প্রধানেরা অনলাইনে পরীক্ষার পক্ষে মত দেন।

এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার জন্যই অনলাইনের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে। আমরা সিলেবাস শেষ করার দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার পথে নামছি।’’ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি মহম্মদ সাদ্দাম বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের মান্যতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনলাইনে পরীক্ষা নেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement