Sangrami Joutha Mancha

সাফল্য-ব্যর্থতার দাবি, পাল্টা দাবিতেই শেষ হল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দু’দিনের কর্মবিরতি

মঙ্গল ও বুধবার এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল মঞ্চ। কর্মবিরতি শেষে বুধবার সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ দাবি করেছেন, তাঁদের কর্মসূচি পুরোপুরি সফল হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩ ২১:১৬
Share:

শহিদ মিনারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ-সহ নেতৃত্ব। ছবি ফেসবুক থেকে।

সাফল্য ও ব্যর্থতার দাবি আর পাল্টা দাবিতেই শেষ হল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা দু’দিনের সরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতি। মঙ্গল ও বুধবার এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল মঞ্চ। কর্মবিরতি শেষে বুধবার সংগঠনের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ দাবি করেছেন, তাঁদের কর্মসূচি পুরোপুরি সফল হয়েছে। পুজোর আগে যে উদ্দেশ্য নিয়ে তাঁরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন, তা সফল হয়েছে। পাল্টা তৃণমূল সমর্থিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের দাবি, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা কর্মবিরতি ব্যর্থ করে সরকারি কর্মচারীরা কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এমন দাবির উত্তরে যৌথ মঞ্চের জবাব, ‘‘কর্মবিরতির অর্থ অফিসে গরহাজিরা নয়। অফিসে হাজির হয়ে কাজে শামিল না হওয়া। এমনই বার্তা সরকারি কর্মচারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। তাই সে দিক থেকে দেখলে, তাঁরা কর্মসূচি পালন করেছেন।’’

Advertisement

তৃণমূল সমর্থিত কর্মচারী ফেডারেশনের দাবি, দু’দিন ধরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ যে কর্মবিরতি ডেকেছিল, তা সম্পূর্ণ ভাবে বিফল হয়েছে। প্রত্যেকটি অফিস, জেলা, ব্লক, মহকুমা ও জেলাশাসকের দফতর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সদস্যরা সচল রেখেছেন । তাঁদের নেতা প্রতাপ নায়েকের বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কখনও বলেননি, মহার্ঘ ভাতা দেবেন না । তিনি কর্মচারী-দরদি। কখনওই কর্মচারী-বিরোধী নন। সঠিক সময়ে অর্থ সঙ্কুলান হলেই তিনি ব্যবস্থা করবেন।’’

প্রসঙ্গত, ২৭ সেপ্টেম্বর বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দু’দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ১০ এবং ১১ অক্টোবর অর্থাৎ মঙ্গল ও বুধবার কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যেরা। পুজোর আগে ডিএ-সহ চার দফা দাবিতে ফের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছিল। যে চারটি দাবিকে কেন্দ্র করে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করলেন সেগুলি হল— প্রথম, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দিতে হবে। দ্বিতীয়, রাজ্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগ করতে হবে। তৃতীয়, প্রতিহিংসামূলক বদলি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। চতুর্থ দাবি, যোগ্য অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী পদে নিয়োগ করতে হবে। কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষণার দু’দিন আগে অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁরা এই দাবিগুলি নিয়েই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দাবিগুলি লিখিত আকারে তাঁর হাতে তুলেও দিয়ে এসেছিলেন। আপাতত পুজোর ছুটির পর তাঁরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেই মঞ্চ সূত্রে খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement