—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গাড়ির দূষণ সংক্রান্ত শংসাপত্র (চলতি কথায় ধোঁয়ার কাগজ) না-থাকলে পরিবহণ দফতরকে এত দিন যে পরিমাণে জরিমানা দিতে হত, তার অঙ্ক কমাতে পারে রাজ্য। সম্প্রতি পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর সঙ্গে বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলির বৈঠকের পরে এমন ইঙ্গিতই মিলেছে। আর মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল পরিবহণ দফতর।
গত শুক্রবার কলকাতা ময়দানে পরিবহণ দফতরের তাঁবুতে আয়োজিত বৈঠকে বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলি পরিবহণমন্ত্রীর কাছে জরিমানা কমানো ও দূষণ পরীক্ষা করার যন্ত্রের স্বাস্থ্যপরীক্ষার দাবি তোলে। মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। তার পরেই পরিবহণ দফতরে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারির উদ্যোগ শুরু হয়।
ধোঁয়ার কাগজ না-থাকলে এতদিন ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হত। সেই জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে ২ হাজার টাকা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যদি কেউ দীর্ঘ দিন দূষণ নিয়ন্ত্রণের শংসাপত্র না নেন, তা হলে সেই গাড়ির মালিককে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, প্রাথমিক ভাবে জরিমানা কমিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রী এবং সচিব স্তরের বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হল।
বেসরকারি বাস মালিকদের তরফে মন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল, কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ির দূষণ মাপার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বসানো হয়েছে। সেই যন্ত্রের আওতাধীন রাস্তা দিয়ে চলাচল করার পথে বৈধ ‘পলিউশন ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ (পিইউসি) থাকা সত্ত্বেও গাড়ির মালিকদের মোবাইলে জরিমানা সংক্রান্ত বার্তা আসছে। কোনও গাড়ির দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নথির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে তার সাত দিনের মধ্যে ওই গাড়ির ধোঁয়া পরীক্ষা না করালে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বাধ্যতামূলক। এই জরিমানা না দিলে, রাস্তায় গাড়ির নামানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে বলেই অভিযোগ বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলির। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি জারির পর নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে ধোঁয়া পরীক্ষা না করালে এ বার থেকে প্রথম বার ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। পরবর্তী দু’টি ধাপে যথাক্রমে ৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
অনলাইন ক্যাব অপারেটার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মাননীয় মন্ত্রী আমাদের বলেছিলেন, ১০ হাজার টাকার জরিমানা থাকবে না। তা অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা পরিবহণ দফতরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’’