Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: সব কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরের মোদী-বিরোধী প্রচার চাইছে তৃণমূল, নির্দেশ ছাত্র সংগঠনকে

রেল স্টেশন, অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি, কোল ইন্ডিয়ার দফতরের সামনে প্লাকার্ড নিয়ে গিয়ে প্রতিবাদে সামিল হবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২১ ১৯:৫৫
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

দলের ছাত্র সংগঠনকে ‘ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পলিসি’র বিরুদ্ধে এ বার প্রতিবাদের রাস্তায় নামার নির্দেশ দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের ভার্চুয়াল সভায় তিনি বলেন, ‘‘রেল স্টেশন, এয়ার ইন্ডিয়া, কয়লা সব বেচে দেবে কেন্দ্র। লাইফ ইনসিওরেন্স, জেনারেল ইনসিওরেন্স, রেল, কেন বিক্রি করবেন এ সব? দেশের মাটি কি কখনও বিক্রি হয়?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রেল কি বিজেপি-র জায়গা? তা হলে প্লাকার্ডে লিখুন, রেল বিজেপি-র। এর পর তো জনগণকে কবে বলবেন নিজের চোখ, নাক, মুখ বিক্রি করে দিতে। আর কী কী বিক্রি করবেন?’’ এর পরেই তিনি দলের ছাত্র সংগঠনকে নির্দেশ দেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে সব সংস্থাগুলি বেসরকারিকরণ করছে তার সামনে প্লাকার্ড নিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করুন।’’

Advertisement

মমতা নির্দেশ দিয়েছেন, রেল স্টেশন, অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি, কোল ইন্ডিয়ার দফতরের সামনে প্লাকার্ড নিয়ে গিয়ে প্রতিবাদে শামিল হতে। নেত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দিদি নির্দেশ দেওয়ার পরেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। প্রাথমিক ভাবে আলোচনাও হয়ে গিয়েছে। যে সব কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাকে মোদী সরকার বিক্রি করে দিচ্ছে, তার সামনে গিয়েই রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে শামিল হবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।’’ প্লাকার্ডের পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রতিবাদ-পোস্টার লাগানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এমন প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি-র নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের নির্দিষ্ট করে দিল্লির বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে, আশা করব সেখানে গিয়ে তারা আন্দোলন করবে। পশ্চিমবঙ্গে যেমন তারা পথ অবরোধ করে, সে রকম দিল্লিতে পথ অবরোধ করবে। সারা দেশ জুড়ে আন্দোলন করবে। প্রয়োজনে বন্‌ধ ডাকবে, প্রয়োজনে ভারত বন্‌ধ ডাকবে। মোদী হঠাও, ভারত বাঁচাও স্লোগান তুলবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কিন্তু পরিণতি ওটাই হবে যেটা ২০১৯ সালে হয়েছিল। তৃণমূল কোনও সংসদীয় ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে না। দেশের গণতন্ত্রের প্রতি, সংবিধানের প্রতি এই দলটির কোনও আস্থা নেই। সংবিধানের সর্বোচ্চ পদে যিনি আছেন, তাঁকে ব্যঙ্গ করছে। লোকের সামনে ছোট করছে। বিভিন্ন সময় অশালীন ভাষায় আক্রমণ করছে। তাঁকে জেলে পোরার কথা বলছে। তৃণমূলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এ ধরনের মন্তব্য করছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement