—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিভিন্ন জেলায় এবং রাজ্য পুলিশের সদরে পুলিশকর্মীদের বদলির বহু আবেদন পড়ে আছে। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলি দ্রুত কার্যকর করতে এবং তার জেরে তৈরি হওয়া সমস্যার সমাধান করতে রাজ্য জুড়ে কনস্টেবল থেকে সাব-ইনস্পেক্টর পর্যন্ত বদলির ‘গাইডলাইন’ বা নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য পুলিশ। বুধবার রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল মনোজ মালবিয়ার জারি করা ওই বদলি নীতি ইতিমধ্যেই সব জেলা থেকে শুরু করে পুলিশের ইউনিট হেডদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং তা দ্রুত কার্যকর করতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য এর আগেও রাজ্য পুলিশের তরফে বদলি নীতি বানানো হয়েছিল। কিন্তু খাস পুলিশ সদর থেকে শুরু করে রেঞ্জ অফিসে নিয়ম না-মেনেই বদলির আবেদন পড়ছিল বলে অভিযোগ। যার সুরাহা করতেই ফের রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ওই নির্দেশিকা জারি করতে হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সব পুলিশকর্মী বদলি চাইছেন তাঁদের প্রথমে নিজেদের ইউনিটের রিজার্ভ অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে। তার আগে ওই আবেদন এসপি বা এএসপিদের দিয়ে ‘ফরোয়ার্ড’ করাতে হবে। ওই আবেদন পত্র রিজার্ভ অফিসারকে রেঞ্জ ডিআইজি, আইজি অথবা এডিজি-র কাছে পাঠাতে হবে ১৫ দিনের মধ্যে। এ ছাড়া ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন রেঞ্জ বা জ়োনের মধ্যে পুলিশকর্মীরা বদলির আবদেন করলে সেটি গ্রাহ্য হবে কিনা তা নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রেঞ্জের ডিআইজি বা আইজিরা। আন্তঃ-জ়োনাল বদলির ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের সদর দফতরই সেই সিদ্ধান্ত নেবে।
রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, পুলিশকর্মীদের আবেদনের সব কিছু ঠিক থাকলে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেওই বদলির নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, পারিবারিক অসুস্থতা কিংবা জরুরি কিছু থাকলে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র জারি করা বদলি নীতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ভবানী ভবন জানিয়েছে, প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিলে সাধারণ বদলি করা হবে। যা এখনও চালু আছে। তবে আবেদনের ভিত্তিতে যে বদলি করা হয় তা বছরে দু’বার হবে। এক বার জুলাই-অগস্টে, দ্বিতীয় বার নভেম্বর-ডিসেম্বরে। তবে ওই বদলি হবে আগে আবেদনের ভিত্তিতে। অর্থাৎ পোর্টাল বা সরাসরি আবেদনের ক্ষেত্রে রিজ়ার্ভ অফিসে জমা দেওয়ার আবেদন পত্রের তারিখ দেখে তার তথ্য ভান্ডার তৈরি করতে বলা হয়েছে। ওই তথ্য ভান্ডার দেখেই আগে আবেদনের ভিত্তিতে বদলির সুযোগ মিলবে কনস্টেবল থেকেসাব ইন্সপেক্টর স্তরের পুলিশকর্মীদের। কোনও সাব-ইনস্পেক্টরকে তাঁরবাড়ির মহকুমায় নিয়োগ করা যাবে না-বলে ওই বদলি নীতিতেজানানো হয়েছে। তবে ১৫ বছর চাকরি হয়ে গিয়ে থাকলে পুলিশকর্মীরা নিজের জেলায় বদলির সুযোগ পাবেন বলে ডিজি তাঁর নির্দেশিকায় জানিয়েছেন।