শীতের মরসুমে বাঙালির অন্যতম প্রিয় নতুন গুড়ের সন্দেশ। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের মরসুমে খাদ্যরসিক বাঙালি রসনাকে তৃপ্তি দেয় নতুন গুড়ের সন্দেশ। সেই শীতের মরসুমেই নতুন গুড়ের সন্দেশকে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) পেতে আবেদন জানাল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি আরও বেশকিছু পণ্যের ওপর জিআই পেতে নতুন করে আবেদন জানানো হয়েছে। নতুন গুড়ের জিআই পাওয়ার জন্য যে আবেদন করা হয়েছে এবং যা গৃহীত হয়েছে, তার সপক্ষে প্রয়োজনীয় গবেষণাপত্র এবং প্রামাণ্য দলিল তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের তরফে। কোনও একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কোনও পণ্য পরিচিতি ও খ্যাতি লাভ করলে সেই আঞ্চলিক পণ্যটির জন্য জিআইয়ের আবেদন করা যায়। সে ক্ষেত্রে সেই পণ্যটি ওই নির্দিষ্ট এলাকাতেই যে খ্যাতি লাভ করেছে, তার প্রমাণ দিতে হয়। সেই প্রমাণ ও নথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের কর্তারা সম্পূর্ণ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
নতুন গুড়ের সন্দেশ ছাড়াও একযোগে বেশ কয়েকটি পণ্যের জিআই তকমা পাওয়ার জন্য আবদেন করেছে রাজ্য সরকার। সেই পণ্যগুলি গৃহীতও হয়েছে জিআই রেজিস্ট্রিতে। সে পণ্যগুলি হল মুর্শিদাবাদের খাগড়ার কাঁসার বাসন, কামারপুকুরের সাদা বোঁদে, কনকচূড় ধান, বিষ্ণুপুরের দশাবতার তাস, বাঁকুড়ার শাঁখের কাজ শোলার কারুকাজ, বেলিয়াতোড়ের মেচা সন্দেশ ও শান্তিনিকেতনের আলপনা। দফতরের এক কর্তার কথায়, জয়নগরের মোয়ার ক্ষেত্রে যত সহজে জিআইয়ের আবেদন করে আমরা তা পেয়েছি, রসগোল্লার ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। সে ক্ষেত্রে ওড়িশার সঙ্গে আমাদের সমানে সমানে টক্কর দিয়ে লড়াই করে সেই স্বীকৃতি আদায় করতে হয়েছে। তাই এ বার আমরা অনেক সাবধানতার সঙ্গেই পণ্য বাছাই করে একে একে জিআইয়ের জন্য আবেদন করেছি। আশা করছি, এ বার আর রসগোল্লার মতো সমস্যায় পড়তে হবে না।