ভিন্ রাজ্যের কোনও যোগসূত্র মিলছে বলে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রের খবর। —প্রতীকী চিত্র।
দিনকয়েক আগেই বড়বাজারের কয়েকটি দোকানে হানা দিয়ে সন্দেহজনক জাল ও নিম্নমানের ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই শুক্রবার কেষ্টপুরের এক পাইকারি ব্যবসায়ীর দোকানে হানা দিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। সূত্রের খবর, আগরা থেকে ওই ওষুধ এ রাজ্যে এনেছিলেন কেষ্টপুরের ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু সেই ওষুধ তিনি নিয়ে এলেন কী ভাবে, সেই সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছেন ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকেরা। পাশাপাশি, ওই দোকান থেকেও জাল সন্দেহে কিছু ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার কলকাতার ওষুধ ব্যবসায়ীদের আড়ত বলে পরিচিত মেহতা বিল্ডিং, বাগড়ি মার্কেট, গান্ধী কমপ্লেক্স-সহ আরও কয়েকটি জায়গায় হানা দেয় রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের বড় দল। বাগড়ি মার্কেট ও মেহতা বিল্ডিংয়ের কয়েকটি পাইকারি দোকান থেকে ব্যাক্টিরিয়াজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক-সহ আরও কিছু ওষুধ জাল এবং নিম্নমানের সন্দেহে বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়। জানা যাচ্ছে, ওই সব দোকানের মালিকেরা কোথা থেকে ওষুধ কিনেছেন, তা দেখতে গিয়েই জানা যায়, ব্যাক্টিরিয়াজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক বড়বাজারে এসেছিল কেষ্টপুরের ঘোষপাড়ার এক পাইকারি
ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। এর পরে এ দিন রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের চার সদস্যের দল ওই ব্যবসায়ীর দোকানে অভিযান চালায়।
সূত্রের খবর, সেখান থেকেও ব্যাক্টিরিয়াজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক, গ্যাসের ওষুধ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যেগুলির কিউআর কোড স্ক্যান
করে কোনও তথ্য মিলছে না। তাতেই ড্রাগ কন্ট্রোলের সন্দেহ আরও বাড়ে। আমতা, বড়বাজার, কেষ্টপুর-সহ একের পর এক জায়গা থেকে মিলছে জাল ও নিম্নমানের ওষুধ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভিন্ রাজ্যের কোনও যোগসূত্র মিলছে বলেও রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রের খবর।