West Bengal SSC Scam

‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতি কাদের? বিচারপতিকে ‘জবাব’ দিতে আদালতে শিক্ষাসচিব

অযোগ্য হয়েও চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের হয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিচারপতি ওই আবেদনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানতে চান, কার নির্দেশে ওই আবেদন করা হয়েছে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২ ১১:৩৬
Share:

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজিরা দিলেন মণীশ জৈন। ফাইল চিত্র।

কার নির্দেশে অযোগ্য শিক্ষকদের হয়ে আদালতে দরবার করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, জানতে চেয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জবাব দিতে বৃহস্পতিবার সকালেই হাই কোর্টে এসে পৌঁছলেন রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈন।

Advertisement

বুধবারই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। আদালত সূত্রে খবর, কমিশনের আইনজীবীদের কাছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, ‘‘কমিশনকে সামনে রেখে কার নির্দেশে শূন্যপদে অবৈধদের নিয়োগের আবেদন করা হল?’’ কমিশন তার কোনও জবাব দিতে না পারায় বিচারপতি ঘোষণা করেন, ওই আবেদন কার মস্তিষ্কপ্রসূত, তা জানতেও তদন্ত করবে সিবিআই। বুধবার থেকে তদন্ত হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্টও জমা দিতে হবে। বিচারপতি মামলার শুনানি চলাকালীনই মন্তব্য করেন, ‘‘এটা একটা সংগঠিত অপরাধ। যোগ্য প্রার্থীরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন আর অযোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছেন।’’ এর পরেই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি। মনীশ বৃহস্পতিবার সকালে যথা সময়েই আদালতে পৌঁছে যান।

প্রসঙ্গত, অবৈধ নিয়োগের অভিযোগের ভিত্তিতে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে কমিশনের পক্ষ থেকে গত সেপ্টেম্বরে পুনর্বহালের আবেদন করা হয়েছিল উচ্চ আদালতে। যার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু কমিশনের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁদের জন্য অন্য কাজের ব্যবস্থা করা হোক। তবে শিক্ষকতার কাজ নয়। কারণ, তা হলে যোগ্যরাই চাকরি পাবেন না। এর পরেই আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে তারা এ-ও জানায় যে, ত্রুটি বুঝতে পেরেই ওই আবেদন প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু বিচারপতি সে কথা শুনে পাল্টা জানতে চান, প্রত্যাহার করা হলেও তাঁর জানা দরকার কার নির্দেশে মামলাটি হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement