—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ডিসেম্বরের প্রায় মাঝামাঝি হয়ে গেলেও সিবিএসই দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষার সূচি প্রকাশিত না হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছিল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। শেষমেশ মঙ্গলবার এই সূচি প্রকাশ করেছে সিবিএসই বোর্ড। তবে লোকসভা ভোটের জন্য পরীক্ষা এগোচ্ছে না। তা শুরু হচ্ছে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়েই। সিবিএসই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু একই দিনে, ১৫ ফেব্রুয়ারি। দশমের পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মার্চ, দ্বাদশের ২ এপ্রিল।
তবে সিবিএসই স্কুলগুলির অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, এ বার দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষায় প্রশ্নের ধরন কিছুটা হলেও পাল্টাবে। জাতীয় শিক্ষানীতিতে যে ধরনের প্রশ্নের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষাতেও গুরুত্ব পাবে তেমন ধরনের প্রশ্ন।
জি ডি গোয়েন্কা পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষা সুজাতা চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, শুধু পাঠ্যবই মুখস্থ করে গেলে সমস্যায় পড়তে পারে ছাত্রছাত্রীরা। বরং, প্রতিটি বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার। কারণ, ধারণাভিত্তিক (কনসেপচুয়াল) বেশ কিছু প্রশ্ন আসবে। তাঁর কথায়, ‘‘৫০ শতাংশ বা তার কাছাকাছি ধারণাভিত্তিক প্রশ্ন থাকবে। ফলে, সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে পরীক্ষার্থীর স্বচ্ছ জ্ঞান না থাকলে উত্তর লেখা একটু মুশকিল হতে পারে।’’ উদাহরণ হিসাবে সুজাতা জানাচ্ছেন, ধরা যাক, একটি বিবৃতি দেওয়া হল। সেই বিবৃতির যৌক্তিকতা কতটা ঠিক বা কতটা ভুল, তা লিখতে হবে পরীক্ষার্থীদের। সিবিএসই-তে এই ধরনের প্রশ্ন এ বার প্রথম আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া, কোনও একটি কেস স্টাডি বা ঘটনার কথা উল্লেখ করে তার উপরেও নানা ধরনের প্রশ্নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নে (এমসিকিউ) বিশেষ গুরুত্ব তো থাকছেই। তাই সামগ্রিক ভাবে পরীক্ষার্থীদের বিষয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার।
তবে অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, ছাত্রছাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এই নতুন ধাঁচের প্রশ্নের উপরেই পঠনপাঠন হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের কী ভাবে মানিয়ে নিতে হবে, তা নিয়ে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছে সিবিএসই বোর্ড। শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, টেস্টেও বেশ কিছু ধারণাভিত্তিক প্রশ্ন থাকছে। তবে অধ্যক্ষদের মত, ভাল ফল করতে হলে পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়া জরুরি। পাঠ্যবইয়ের শেষে প্রশ্ন বার বার লিখে অনুশীলন করতে হবে।