sandeshkhali

উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্রেই পুলিশের শিবির

এক শিক্ষক জানান, এখন পুলিশ থাকায় বেঞ্চগুলি সব আদৌ ঠিক থাকবে কি না সন্দেহ! রবিবারের মধ্যে স্কুল পরিষ্কারের পরিকল্পনা ছিল।

Advertisement

নবেন্দু ঘোষ 

সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:০৯
Share:

—প্রতীকী ছবি।

উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য সন্দেশখালির পথে পথে এখন পুলিশ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের আনা হয়েছে। সূত্রের দাবি, পুলিশকর্মীদের থাকার জন্য থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বের যে তিনটি স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে সন্দেশখালি রাধারানি হাই স্কুলও। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে যে স্কুল উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্র হচ্ছে, সেখানে এত পুলিশ থাকায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকেরা।

Advertisement

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপ বর্মণের খেদ, “সামনে সরস্বতী পুজো। তার এক দিন পরে পরীক্ষা শুরু। কী ভাবে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রস্তুত করে ৭২০ জন পরীক্ষার্থীর বসার ব্যবস্থা করব, জানি না। সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল পুলিশ থাকায়।” স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা পুলিশ-প্রশাসনের থেকে তেমন কোনও আশ্বাস পাচ্ছেন না।

এ নিয়ে সন্দেশখালি থানার ওসি বিশ্বজিৎ সাপুইয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিডিও (সন্দেশখালি ২) অরুণকুমার সামন্ত বলেন, “পরীক্ষার আগে আশা করা যায় সব ঠিক হয়ে যাবে।”

Advertisement

ওই স্কুল সূত্রের খবর, সেখানে ‘সিট’ পড়েছে আশপাশের পাঁচটি স্কুলের পরীক্ষার্থীদের। সেরে ফেলা হয়েছিল বেঞ্চ সাজানোর কাজ। স্কুল পরিষ্কার করার কাজ বাকি ছিল। এলাকায় অশান্তির জন্য স্কুলটি শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। তার মধ্যেই শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ পুলিশকর্মীদের রাখার জন্য স্কুল খুলে দিতে বলা হয়। তবে, পুলিশের তরফে স্কুলকে কোনও লিখিত আবেদন করা হয়নি বলে দাবি।

এক শিক্ষক জানান, এখন পুলিশ থাকায় বেঞ্চগুলি সব আদৌ ঠিক থাকবে কি না সন্দেহ! রবিবারের মধ্যে স্কুল পরিষ্কারের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখন সে-সব কিছুই করা যাচ্ছে না। শনিবার স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, শুধুই উর্দিধারীদের আনাগোনা।

এ দিকে, মেয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়া নিয়ে চিন্তায় দাসপাড়ার এক পরীক্ষার্থীর মা। ওই পরিবারের দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন গোলমালের ঘটনায়। বৃহস্পতিবার থেকে মেয়েটির বাবাও বাড়িছাড়া। বাড়িতে মেয়েটির মা একা রয়েছেন। রাধারানি হাই স্কুলের ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা দিতে যেতে হবে জেলিয়াখালির স্কুলে। তাঁর মা বলেন, “বাড়ির দু’জন গ্রেফতার হওয়ায় স্বামী অন্যত্র চলে গিয়েছেন। পুলিশ রাতে বাড়ি এসে দরজা-ধাক্কা দিচ্ছে। ভয়ে মেয়েকে আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে এসেছি। মেয়ের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। দুটো নদী পেরিয়ে পরীক্ষা দিতে যেতে হবে। কে নিয়ে যাবে?”

এলাকার পরিস্থিতিতে উদ্বেগে রয়েছেন এখানকার মোট ১৪২৩ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অনেকেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement