কোনও নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেরোসিনের বরাদ্দ হঠাৎ কমিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। —ফাইল চিত্র।
কোনও নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেরোসিনের বরাদ্দ হঠাৎ কমিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি বণ্টন নীতি তৈরি না-হওয়া পর্যন্ত আগের বরাদ্দ মতোই কেন্দ্রকে কেরোসিন সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশ পাওয়ার পর তা কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। হাই কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, কেরোসিন তেল ফেব্রুয়ারিতে যতটা কম দেওয়া হয়েছে, তা পুষিয়ে দিতে হবে। উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলার জন্য ৫৮,৬৬৮ কিলোলিটার কেরোসিন পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তেল দেওয়া হয়েছে ১৪,৩০৪ কিলোলিটার।
সব রাজ্যের জন্য তিন মাসের কেরোসিনের বরাদ্দ দেয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সব রাজ্যের জন্য জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত কেরোসিন বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু গত ১৯ জানুয়ারি, শুধু পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ করা হয় শুধুমাত্র জানুয়ারির জন্য ৫৮,৬৬৮ কিলোলিটার।
কিন্তু কেরোসিন বরাদ্দ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের বেঞ্চে অভিযোগ করা হয়, ৩১ জানুয়ারির পর পেট্রলিয়াম মন্ত্রক ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলার বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে পশ্চিমবঙ্গের কেরোসিনের বরাদ্দ নির্ধারণ করার জন্য কেন্দ্রকে নীতি তৈরি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তা তৈরি না-করে রাজ্যের বরাদ্দ কমানো হয়েছে জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে কেরোসিন তেল এজেন্টদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল কেরোসিন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের আবেদনের শুনানিতে গত বুধবার বিচারপতি উদয় কুমার ও বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৭ এপ্রিল। কেন্দ্র আদালতকে জানিয়েছে, সব রাজ্যের কেরোসিনের বরাদ্দ আগেই কমানো হয়েছে। বণ্টন নীতি সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শীঘ্রই নেবে কেন্দ্র। সঙ্গে রাজ্যের পাওনা কেরোসিন তেল দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে।