তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর আগেই সাসপেনশনের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এ বার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে ফাঁপরে পড়েছে সিপিএম। তিন সদস্যের তদন্ত কমিশন বুধবার দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর কাছে রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে অভিযুক্ত সাংসদকে চার্জশিট দিয়ে তাঁর আরও ব্যাখ্যা তলব করার কথা বলা হয়েছে। যে প্রস্তাব অনুমোদিত হবে আগামী ৭-৮ অগস্ট রাজ্য কমিটির বৈঠকে।
তিন সদস্যের কমিশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ সেলিম এ দিনের বৈঠকে ছিলেন না। আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, বাকি দুই সদস্য মদন ঘোষ ও মৃদুল দে তাঁদের রিপোর্টে বলেছেন, ঋতব্রতের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত জীবন ও সংবাদমাধ্যমে খবর ফাঁস করা সংক্রান্ত অভিযোগের প্রাথমিক সারবত্তা আছে। এ বার চার্জশিট দিয়ে তাঁর জবাবদিহি চাওয়া হবে। তার পরে দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তির সুপারিশ হবে। রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের প্রশ্ন, প্রথমেই সাসপেন্ড করে ফেলার পরে আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ কী হবে? তাঁদের আরও প্রশ্ন, সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করার তথ্য পাওয়া গেলে কমিশন কি এখনই তাঁকে রাজ্য কমিটি থেকে অপসারণের মতো সুপারিশ করে দিত না? শেষমেশ অপসারণ করলে সাংসদ কী করবেন, তা-ও জল্পনার বিষয়! আবার গোড়াতেই সাসপেন্ড করে ফেলার পরে তাঁকে পুরোপুরি ছাড় দেওয়াও কি বিড়ম্বনা নয়? দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত, রাজ্যসভা ভোট ঘিরে দলের মধ্যেই গোলমাল যখন চরমে, সেই পরিস্থিতিতে প্রকাশ কারাটদের ইঙ্গিত করে গৌতম দেবের সাম্প্রতিক মন্তব্যেও বিশেষ জলঘোলা হয়নি রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে।