New districts

বাড়তে পারে জেলার সংখ্যা, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ফের ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর

২০২২ সালের এপ্রিলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জেলা বিভাজন সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ওই সময়ে দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলি ভেঙে নতুন জেলা গঠনের পরিকল্পনা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ২১:২৬
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

শীঘ্রই রাজ্যে আরও বাড়তে পারে জেলার সংখ্যা। নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার সংখ্যা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ কাজ তৎপরতার সঙ্গে করা হবে বলেও মন্ত্রীদের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগেও জেলার সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন। গত বছরের এপ্রিলে এই মর্মে মন্ত্রিসভা আলোচনাও হয়। কিন্তু স্থানীয় কয়েকটি কারণে সেই কাজ আর এগোয়নি। এ বার মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আবার তৎপর হয়েছেন। যদিও সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের সূচিতে জেলা বিভাজনের বিষয়টি ছিল না। বৈঠকের মাঝে ওই প্রসঙ্গ ওঠে।

Advertisement

মন্ত্রিসভার বৈঠকে গত বছরই কয়েকটি জেলা ভেঙে নতুন জেলা তৈরির প্রস্তাব নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ওই তালিকায় ছিল দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলি। সেই সময় ঠিক হয় নদিয়া জেলা ভেঙে আলাদা হবে রানাঘাট। মুর্শিদাবাদ জেলা ভেঙে তিনটি পৃথক জেলা গঠন করা হবে। মাস কয়েক আগেও ওই জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে এমনটা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলা হয়েছিল, সুন্দরবন আলাদা জেলা হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাকে ভেঙে। এ রকমই নতুন সাতটি জেলা তৈরির প্রসঙ্গ উঠলে স্থানীয় স্তর থেকে কিছু আপত্তি ওঠে। নবান্ন সূত্রে খবর, এখন স্থানীয় আবেগকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। নতুন জেলার নামের ক্ষেত্রে সাবধানী অবস্থান নেবে রাজ্য।

জেলা ভাগ প্রসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গ জনঘনত্বপূর্ণ রাজ্য। তাই এখানে জেলাগুলির আয়তন ছোট হলে প্রশাসনিক কাজে সুবিধা হবে। আর বেশি সংখ্যায় রাজ্যের জন্য আইএএস ও আইপিএস অফিসার পাওয়া যাবে। তবে জেলার সংখ্যা বেড়ে কত হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যে জেলার সংখ্যা বেড়েছে। এখন রাজ্যে জেলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩।

Advertisement

সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রের খবর, কোনও প্রকল্প ঘোষিত হওয়ার ১৫ দিনের মাথায় কী অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখবে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি। প্রতি ছ’মাস অন্তর সেই প্রকল্পের গতিপ্রকৃতি কেমন রয়েছে তা-ও ওই কমিটিকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। যদিও এই ধরনের কমিটি আগেই তৈরি করে দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু এত দিন তা খুব একটা সক্রিয় ছিল না। এখন আবারও সক্রিয় হয়ে ওই কমিটিকে রাজ্য সরকারের ঘোষিত প্রকল্পগুলি গতিপ্রকৃতির দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement