Dengue

ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো রোগের মোকাবিলা করতে পুরসভাগুলিকে ৩৮ কোটি টাকা দিচ্ছে পুর দফতর

রোগ নিয়ন্ত্রণে পুরসভাগুলিকে ৩৮ কোটি ৫৩ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সির (সুডা) মাধ্যমে এই টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৩ ১৬:০৫
Share:

পতঙ্গবাহিত রোগের মোকাবিলায় পুরসভাগুলিকে ৩৮ কোটি টাকা দিল পুর দফতর। প্রতীকী চিত্র।

মশা-সহ পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে পুরসভাগুলিকে আর্থিক বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। বর্ষার মরসুম শুরু হওয়ার পরেই বাড়তে শুরু করেছে পতঙ্গবাহিত রোগের প্রকোপ। কলকাতা পুরসভার পাশাপাশি, রাজ্যের সব পুরসভাগুলিকেই এই রোগের মোকাবিলা করতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তাই সেই রোগ নিয়ন্ত্রণে পুরসভাগুলিকে ৩৮ কোটি ৫৩ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। স্টেট আরবান ডেভলপমেন্ট এজেন্সির (সুডা) মাধ্যমে এই টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

Advertisement

পুর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, জমা জল সরানোর ব্যাপারে পুরসভাগুলিকে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভাগুলিকে। আইন অনুসারে পুলিশ ও বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে পুর প্রতিনিধিরা কোনও বন্ধ বাড়ির তালা খুলে ছাদ সাফ করতে পারবেন। তাই আর্থিক বরাদ্দ পেয়ে মশা নিধনের ব্যপারে বিশেষ পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় বহু বাড়ি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ। সেই সব জায়গায় জমা জল হয়ে উঠছে মশার আঁতুড়ঘর। তাতেই ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। তাই এই আর্থিক বরাদ্দ পাওয়ার পর বন্ধ বাড়িগুলি খুলে সাফাই করার উপায় খুঁজতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভাগুলিকে। এই অর্থ ব্যবহার করে যেমন মশা নিধনের বন্দোবস্ত করতে বলা হয়েছে। তেমনই, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির চিকিৎসা পরিকাঠামো আরও উন্নত করার পক্ষপাতী পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।

সম্প্রতি বিধানসভার বাদল অধিবেশনে এ সংক্রান্ত বিষয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় সরকার যথেষ্ট সচেষ্ট। এ বার শহর এলাকার পাশাপাশি, গ্রামীণ এলাকাতেও ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। তাই শহর এলাকায় যেমন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর সচেতন হয়ে করে কাজ করবে, তেমনই পঞ্চায়েত দফতরও নজরদারি বজায় রেখে পতঙ্গবাহিত রোগের প্রকোপ কমাতে উদ্যোগ নেবে।

Advertisement

অন্য দিকে, স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, পুরনো পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সংস্কার করা হয়েছে। শহর ও শহরতলিতে থাকা একতলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি দোতলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোগী ও তাঁদের পরিজনের বসার জন্য বেঞ্চ বা চেয়ার কেনা হবে। টিকাকরণ এবং জ্বর বা অন্য কোনও কারণে রক্তের নমুনা সংগ্রহের জন্য আলাদা করে ঘর তৈরি করতে বলা হয়েছে। সঙ্গে নতুন ‘আরবান হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’ গড়ার কাজও শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement